মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন মো. আরিফ খান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যখন অভিযান শুরু হয়েছে, ঠিক তখন কিছু যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার যোগসাজশে রাতের আঁধারে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রসংসদ ও ছাত্রলীগের পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
মো. আরিফ খান বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি ছিল নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের কমিটি গঠন করা।
আরিফ খান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আগামী ০৬ মাস ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোস্তফা মোরশেদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না- মর্মে রুল জারি করেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী মোস্তফা মোরশেদ ইসলামিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নন।
‘যেহেতু তার পদটি অবৈধ, ছাত্রসংসদ কমিটির অনুমোদন তিনি দিতে পারেন না। অবৈধ পদে থেকে ছাত্রসংসদ কমিটির অনুমোদন দেওয়া আদালত অবমাননার সামিল। ’
আরিফ বলেন, বর্তমান নগর ছাত্রলীগের ইমু-দস্তগীর কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ। নগরে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মৌখিকভাবে তাদেরকে থানা, ওয়ার্ড ও কলেজ কমিটি না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে কাউন্সিলের কোনো তারিখ ঘোষণা ছাড়ায় ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
‘আমরা কলেজ ক্যাম্পাসের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এড়াতে ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। ’
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রসংসদের ভিপি মোহাম্মদ ইউনুছ। উপস্থিত ছিলেন, কায়সার হামিদ, এজেএম আবদুল মতিন, সৌমিন ঘোষ, মো. খালেকুজ্জামান, মো. তৌসিফ প্রমূখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এমআর/টিসি