মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারে এ ধরনের কারখানার সন্ধান মেলে। সেখানে আসল ব্রান্ডের হুবহু লেবেল, স্টিকার, বোতলের ডিজাইন এমনকি বিএসটিআইয়ের সিলও নকল করা হচ্ছিলো।
অভিযানকালে অননুমোদিত পণ্যে বিএসটিআই’র মানচিহ্ন সম্বলিত অবৈধ স্টিকার ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করায় আনোয়ার ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রায় ১০ হাজার ভুয়া স্টিকার জব্দ করা হয়।
প্যারাসুট ও কুমারিকা ব্রান্ডের নকল হেয়ার অয়েল তৈরি, বাজারজাত ও সংরক্ষণ করায় ভাই ভাই স্টোর সিলগালা করে দেওয়া হয়। আনুমানিক দুই লাখ টাকার বর্ণিত নকল পণ্য জব্দ ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এপিবিএন-৯ এর সহযোগিতায় পরিচালিত বাজার তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (মেট্রো) বিকাশ চন্দ্র দাস ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, অভিযানকালে অননুমোদিত রং, নকল চেরি ও হাইড্রোজ ইত্যাদি খাবারে ব্যবহারের দায়ে খুলশী থানার ইসলাম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ১০ কেজি ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং, নকল চেরি ও হাইড্রোজ ধ্বংস করা হয়।
ঝাউতলা বাজারের আইনুল স্টোরকে কৃত্রিম রং মেশানো মটর বিক্রির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ প্রায় ৫ কেজি মটর ধ্বংস করা হয়। ইকবালের দোকানকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে এ ধরনের অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাসানুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এআর/টিসি