ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘নজরদারিতে’ চসিকের ৮ কাউন্সিলরসহ অর্ধশতাধিক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
‘নজরদারিতে’ চসিকের ৮ কাউন্সিলরসহ অর্ধশতাধিক

চট্টগ্রাম: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর ঢাকায় ক্যাসিনো, জুয়া, মাদক, টেন্ডারবাজি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযানের পর চট্টগ্রামেও শুরু হয়েছে সেই অভিযান।

চট্টগ্রামে ক্যাসিনো না থাকলেও জুয়া, মাদক, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদারদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে র‌্যাবের অভিযানে চকবাজার এলাকার যুবলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার নুর মোস্তফা টিনু ও তার এক সহযোগী গ্রেফতার এবং আগ্রাবাদ এলাকার যুবলীগ পরিচয় দেওয়া সন্ত্রাসী মো. খুরশিদ আলম 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছে।

র‌্যাবের অভিযানের পর যুবলীগ নেতা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা ব্যক্তিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকে।

তাদের কয়েকজন বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে সরকারের বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জুয়া, মাদক, টেন্ডার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদারদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। তালিকাও করা হচ্ছে এসব ব্যক্তিদের।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর করা তালিকায় রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পদবিধারী বর্তমান ও সাবেক নেতা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আট কাউন্সিলর, আছেন একজন উপজেলা চেয়ারম্যানও।

তালিকায় আছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমন, চান্দগাঁও এলাকার এসরারুল হক এসরার প্রকাশ আজরাইল, পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. মহিউদ্দীন, নোবেল, ফরিদুল প্রমুখ।

তাদের বিরুদ্ধে সংগঠনের পদবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি জমি দখল, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

দুইজন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে রেলওয়ের জমি দখল, পাহাড় দখল করে বিক্রির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর দেশে নেই, এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন এসরারুল হক প্রকাশ আজরাইল। খোঁজ নেই পলিটেকনিক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মহিউদ্দীনেরও।

এদিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নও (র‌্যাব) তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রাম শহর এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার, অনুপ্রবেশকারী যারা দলীয় পদবি ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করছে র‌্যাব।

জানতে চাইলে র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম বাংলানিউজকে বলেন, র‌্যাব সদর দফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম শহর এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার, সরকার দলীয় সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী যারা দলীয় পদবি ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের যেসব কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তারাও নজরদারিতে রয়েছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা শাফায়াত জামিল ফাহিম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।