রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ‘পিঁয়াজ ন খাইয়্যুম, পিঁয়াজ ন কিন্যুম’ শীর্ষক গণপ্রচারণা কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
নগরের পাইকারি ব্যবসা কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের হামিদউল্লাহ বাজারে গণপ্রচারণা কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
এ সময় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, হঠাৎ করে অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা যখনই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে তখনই কেবল দাম ক্ষণিকের জন্য কম থাকে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমদানিকারক, বিক্রেতা, সরবরাহকারী সবাই এ দেশের মানুষ। কিন্তু তারপরও জনগণের নিত্য ব্যবহার্য একটি পণ্যকে নিয়ে কেন এভাবে ছিনিমিনি খেলা করা হবে?
সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে খাদ্য তালিকা থেকে পেঁয়াজকে বাদ দেওয়ার জন্য বাবুর্চিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরাও পেঁয়াজ বর্জন করার কর্মসূচি পালন করছি। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বাজারে এ কর্মসূচি চলবে।
‘আপনারা নিত্য ব্যবহার্য উপাদান থেকে এক সপ্তাহের জন্য পেঁয়াজকে বাদ রাখুন। দেখবেন স্বাভাবিকভাবেই পেঁয়াজের দাম জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসবে। আঁরা পিঁয়াজ ন খাইয়্যুম, পিঁয়াজ ন কিন্যুম’ বলেন সুজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজী মো. ইলিয়াছ, অধ্যক্ষ সুকুমার দত্ত, আব্দুর রহমান মিয়া, সাইদুর রহমান চৌধুরী, মো. নিজাম উদ্দিন, খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম, নগর সৈনিক লীগ আহ্বায়ক শফিউল আজম বাহার, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান লিমন, জানে আলম, জাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোলেমান সুমন, কাজী হেলাল উদ্দিন, অধ্যক্ষ কামরুল হোসেন, শেখ মামুনুর রশীদ, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, স্বরূপ দত্ত রাজু, মোজাম্মেল হক মানিক, রাজীব হাসান রাজন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু, মো. ওয়াসিম, মো. শওকত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৯
এসি/টিসি