বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বন্দর ভবনে এ চুক্তি সই অনুষ্ঠান হয়।
এতে বন্দরের পক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ এবং ঈগলরেল কনটেইনার লজিস্টিকসের পক্ষে মি. মাইক সই করেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের আধুনিক বন্দরগুলোতে দ্রুত ও নিরাপদে কনটেইনার হুক পয়েন্ট থেকে দূরের ইয়ার্ডে বা টার্মিনালে নিয়ে যেতে ঈগল রেল ব্যবহার করা হয়। আধুনিক এ প্রযুক্তি চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যবহৃত হলে কনটেইনার মুভমেন্ট কমপক্ষে ১৫ শতাংশ বাড়বে।
চুক্তিসই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঈগলরেল কনটেইনার লজিস্টিকসের মি. স্কট, মিসেস সানিয়া, মাসুদ জামিল খান, এম সামায়াল প্রমুখ।
বন্দরের কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (পরিবহন) মো. এনামুল করিম, প্রধান প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, প্রধান পরিকল্পনাবিদ মাহবুব মোরশেদ, উপ-প্রধান প্রকৌশলী মির্জা রাকিবুল ইসলাম, উপ-সচিব আজিজুল মাওলা প্রমুখ।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, বে টার্মিনাল, ওভারফ্লো ইয়ার্ড, এছাক ব্রাদার্সসহ বন্দরের আশপাশে ঈগল রেলের সাহায্যে কনটেইনার পরিবহনের সুবিধাদি ও খরচ সম্পর্কিত স্টাডি করার জন্য সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। এ স্টাডিতে ঈগল রেলের ট্র্যাক কোন কোন পথে যাবে, জায়গা কেমন লাগবে, পাওয়ার সাপ্লাই, পরিবেশবান্ধব কিনা, যানজট কমবে কিনা, কস্ট ইফেকটিভ হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বন্দরের পক্ষে বুয়েটের একজন বিশেষজ্ঞ স্টাডি পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর যদি সুবিধাজনক মনে হয় তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ঈগল রেল প্রকল্প গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৯
এআর/টিসি