চিটাগং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে (সিআইইউতে) অনুষ্ঠিত করপোরেট টক অনুষ্ঠানে এমনই সব কথা বলেছেন গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকালে নগরের জামাল খান ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে সিআইইউ বিজনেস স্কুল ‘ভয়েস অব অ্যান ইন্সুরার’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফারজানা চৌধুরী বিমা খাতে তার প্রতিষ্ঠানের সফল হওয়ার গল্প, তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা হতে করণীয়, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, ইতিবাচক চিন্তা, লক্ষ্য ও মনোভাব নির্ধারণ, প্রযুক্তিকে ভালো কাজে ব্যবহার করার কৌশল, মেয়েদের পেশা বাছাইয়ে ভিন্ন চিন্তা করাসহ নানান বিষয় চমৎকারভাবে হলভর্তি দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন।
সামাজিক জড়তাকে দূর করে নিজের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প তুলে ধরতে গিয়ে ফারজানা চৌধুরী বলেন, ব্যাংকের চাকরির অভিজ্ঞতা ছেড়ে সাধারণ মানুষের সুযোগ সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করার তাড়না আমাকে প্রায়ই ভাবাতো। শুরুতে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসলেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এখন জয়ী হয়েছি।
তিনি বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি বাড়াতে হবে। পড়ালেখা কিংবা কর্মক্ষেত্র- সবখানেই গবেষণায় ডুবে থাকা চাই। একা একা কখনই কিছু করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে সিআইইউর উপাচার্য ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। পাঠ্যসূচির সঙ্গে বাইরের জগতের পড়ার সমন্বয় হলে ছেলেমেয়েদের দক্ষতা বাড়বে।
রাজধানী ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠিত তরুণ উদ্যোক্তারা এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুনাম বয়ে আনছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে সিআইইউর বিজনেস স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ও করপোরেট টক অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ড. সৈয়দ মনজুর কাদের বলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা একজন সফল ব্যক্তির গল্পগুলো শুনে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পায়।
আগামিতে বড় পরিসরে সহশিক্ষা কার্যক্রম, মেধা বৃত্তি ও গবেষণা বৃদ্ধিতে সিআইইউর সঙ্গে তিনি যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে ফারজানা চৌধুরীর হাতে সিআইইউর পক্ষ থেকে ক্রেস্ট তুলে দেন উপাচার্য। তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিজনেস স্কুলের ডিন ড. নাঈম আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন শিক্ষার্থী ইয়ামিন ও নওশীন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
জেইউ/টিসি