মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং শিরীণ আখতার।
অভিযানে কেজি প্রতি ৪২ টাকা দরে কেনা মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০ টাকায় বিক্রির দায়ে আড়তদার মেসার্স আজমির ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই দেশের পেঁয়াজ একই দামে কিনে ৬৫ টাকায় বিক্রির দায়ে শাহ আমানত ট্রেডার্সকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কেনা দামের প্রায় দেড় গুণ বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে দুই আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
তিনি বলেন, এর আগের অভিযানে আমরা তাদের সতর্ক করেছিলাম। আজকে জরিমানা করা হয়েছে। ফের বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে আড়ত সিলগালা করে দেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা দিলে বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
১ অক্টোবর খাতুনগঞ্জে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অভিযানের পর পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমে। কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকায় নেমে আসে।
তবে গত কয়েকদিনে ফের বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (১৫ অক্টোবর) জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
এর একদিন পর মঙ্গলবার পেঁয়াজের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে দুই আড়তদারকে জরিমানা করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এমআর/টিসি