ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুর্নীতি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা মেয়র নাছিরের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
দুর্নীতি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা মেয়র নাছিরের ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, চট্টগ্রামেও অনিয়মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

শনিবার(১২অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতি, জুয়া এবং ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামেও যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

প্রধানমন্ত্রী যে নিজের ঘর থেকেই শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, যা বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নজির ঘটনা। এটি দলীয় নেতা কর্মীদের জন্য একটি বার্তা।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স। আবরার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক শক্তি যাতে দেশের গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য নাগরিকদের দায়িত্বশীলতা হতে হবে। আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও যুবলীগ সভাপতির ক্ষেত্রেও কঠোর হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার(যুবলীগ সভাপতির) বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ও ব্যাংক হিসেব তলব করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে শিক্ষণীয়।

মানববন্ধন ও সমাবেশ চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহবায়ক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধান সমন্বয়কারী সাংস্কৃতিক সংগঠক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় স্বাগত দেন সংগঠনের সদস্য সচিব ও প্রাবন্ধিক লেখক শেখ মুজিব আহমেদ।

বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইদরিস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক সফর আলী, চট্টগ্রাম আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ইকবাল, মোহাম্মদ ঈসা, চসিক কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান ফেরদৌস, শৈবাল দাশ সুমন, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইসা প্রমুখ।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে কোনও ক্যাম্পাস হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্রে এত দ্রুত আসামি গ্রেফতার ও প্রশাসনকে এত দৃঢ় অবস্থানে

লক্ষ্য করা যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সন্ত্রাস, ক্যাসিনো, মাদক জঙ্গিবাদ ও কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সকে চট্টগ্রামবাসী ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ সাহা, কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আহসান উল্লাহ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নিতাই প্রসাদ ঘোষ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন দেবনাথ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।