ফেসবুকে এমন স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী।
তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মঙলবার (৮ অক্টোবর) সেই শহীদের কবর পরিষ্কার করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সামাজিক সংগঠন নির্বাণ এবং হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাউজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের সদস্যরা।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ফারাজ করিম চৌধুরীর পক্ষ থেকে ছাত্রলীগ ও নির্বাণ সংগঠনকে ১০০টি ফুল গাছের চারা উপহার দেয় সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান। এসব চারা রোপণ করা হয় শহীদ আবদুল হাসিমের কবরের পাশে।
রেলওয়ে হাসপাতালের কর্মচারী আবদুল হাসিম ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল শহীদ হন। তিনি রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। ২০১২ সালে সিআরবি এলাকায় শিরিষ তলা মঞ্চ পাকাকরণ ও সৌন্দর্যবর্ধনের সময় ওই কবরটি রক্ষার আবেদন জানায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদ।
কবরটি পাকাকরণ ও সংরক্ষণ করতে পরিষদের পক্ষ থেকে ফজলে করিম চৌধুরী এমপির কাছে দাবি জানানো হয়। এরপর তিনি সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে দেন।
গত বছরের ৩০ আগস্ট কবর সংস্কার করে দেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে জমে থাকা আর্বজনা ও বালি-মাটি অপসারণ করে ধুয়ে ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, টাঙিয়ে দেওয়া হয় একটি ফেস্টুন। কবরে ময়লা আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানানো হয়।
কিন্তু মাস না যেতেই পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ঝাড়ু দিয়ে সব ময়লা এনে ওই কবরের কাছে ফেলছিল। এরপর আবার বিষয়টি নিয়ে সরব হন ফারাজ করিম চৌধুরী।
ফারাজ করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, স্বাধীনতা অর্জনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অমূল্য অবদান স্মরণ রাখা জাতীয় দায়িত্ব। নিজের জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রেখে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটি দেশ ও একটি লাল-সবুজ পতাকা উপহার দিয়েছেন। এ জন্য জাতির বীর সন্তানদের সঠিক মর্যাদায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে এবং তাঁদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি দিতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সিআরবি মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাসিমের কবরে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে দেখে, সেটি সংস্কারে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। ছাত্রলীগ, নির্বাণ, সেইভ ওমেন ফ্রম ইভটিজিং, সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে কবরটি পরিষ্কার করেছে এবং চারপাশে ফুলের চারা লাগিয়েছে। তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
এসি/টিসি