মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) হালদা নদীর সত্তার ঘাট এবং নয়াহাট এলাকায় ১৫ হাজারেরও বেশি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন, গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মো. রুহুল আমিন বলেন, হালদা নদীতে এতোদিন স্থানীয় হ্যাচারি থেকে কিনে কার্প জাতীয় মাছের পোনা ছাড়া হতো। ফলে এসব পোনা থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেত না।
তিনি বলেন, হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়ার পর কিছু ডিম সংগ্রহ করে সেখান থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে রেণু তৈরি করা হয়। এসব রেণু থেকে প্রক্রিয়া করে তৈরি পোনা একটি মডেল পুকুরে পরিচর্যা করা হয়। ৫ মাসে হ্যাচারির পোনা যেখানে দুই থেকে তিন ইঞ্চি বড় হয়, সেখানে হালদার পোনা ৭ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হয়েছে।
ইউএনও বলেন, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন হালদা নদীর পোনা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। তাই হালদার পোনো হালদায় অবমুক্ত করলে মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। হালদা নদীতে উন্নতমানের মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডিমের পরিমাণও বাড়বে। যা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গড়দুয়ারা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মোর্শেদ বলেন, হালদা নদীতে স্মরণাতীত কাল থেকেই রুই জাতীয় কার্প মাছ ডিম ছেড়ে আসছে। কিন্তু নদীর দূষণসহ নানা কারণে প্রতি বছরেই ডিমের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্থানীয় হ্যাচারি থেকে পোনা কিনে কয়েকবার হালদায় ছাড়া হয়। তবে এতে সুফল মেলেনি।
তিনি বলেন, এবছর প্রথমবারের মতো ‘হালদাবান্ধব’ ইউএনও স্যারের উদ্যোগে হালদা থেকে সংগ্রহ করা রেণু প্রক্রিয়া করে তৈরি পোনা ফের হালদায় ছাড়া হচ্ছে। এ উদ্যোগ সফল হলে হালদায় ডিমের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ভাঙবে। হালদা পাড়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।
প্রসঙ্গত, হালদা নদীতে মাছের পরিমাণ সমৃদ্ধ করতে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। এ প্রকল্পের অধীনে কয়েকটি ধাপে হালদা নদীতে এক লাখ পোনা অবমুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এমআর/টিসি