ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এক লাখ মাছ ছাড়া হচ্ছে হালদায়

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
এক লাখ মাছ ছাড়া হচ্ছে হালদায় প্রতিকী ছবি

চট্টগ্রাম: দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে এক লাখ মাছ ছাড়ছে উপজেলা প্রশাসন। এবারই প্রথম হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা মাছের রেণু প্রক্রিয়া করে তৈরি মাছ ফের হালদায় ছাড়া হচ্ছে।

প্রথম পর্যায়ে মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) হালদা নদীর গড়দুয়ারা অংশে প্রায় ১৫ হাজার মাছ ছাড়া হবে। কয়েকটি পর্যায়ে বাকি সব মাছ হালদায় ফেলা হবে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।

   

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হালদা নদীতে এতোদিন স্থানীয় হ্যাচারি থেকে কিনে কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া হতো। ফলে এসব মাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেত না।

এ কারণে হালদা থেকে নেওয়া রেণু প্রক্রিয়া করে তৈরি মাছ ফের হালদায় ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হালদা নদীতে মাছের পরিমাণ সমৃদ্ধ করতে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর কার্প জাতীয় মা মাছের মজুদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৩০ আগস্ট।

গত ২৫ মে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর স্থানীয়রা সেই ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারি অথবা মাটির তৈরি কুয়ায় স্থানীয় পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদন করে। উৎপাদিত এককেজি রেণু ক্রয় করে গত জুন থেকে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের একটি পুকুরে নিবিড় পরিচর্যা করা হয়। বর্তমানে মাছগুলো ৬ ইঞ্চি বা তার বেশি আকার ধারণ করায় মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হালদা নদীতে অবমুক্ত করা হচ্ছে।       

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন বাংলানিউজকে বলেন,  প্রথমবারের মত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হালদা নদীর পোনা হালদায় ফেলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও খাবার দিয়ে মাছগুলো ৬ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় করা হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার মাছ ছাড়া হবে।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন হালদা নদীর পোনা যথেষ্ট মানসম্পন্ন। তাই উপমহাদেশের অন্যতম প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পোনা হালদাতে অবমুক্ত করে মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করি। হালদা নদীতে উন্নতমানের মা মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে ডিমের পরিমাণও বাড়বে। যা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।     

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। অতীতে স্থানীয় হ্যাচারি থেকে পোনা নিয়ে ছাড়া হলেও হালদার পোনা হালদাতে ছাড়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এবার হালদার পোনা হালদায় ছাড়া হলে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।