প্রতিবছরের মতো এবারও রোববার (৬ অক্টোবর) বর্ণাঢ্য আয়োজনে নগরের পাথরঘাটা রাধাগোবিন্দ ও শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে এ পূজার আয়োজন করা হয়। পূজারী ছিলেন পণ্ডিত বাবলা চক্রবর্তী, তন্ত্রধারে জুয়েল নাথ।
শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ বাংলানিউজকে জানান, হিন্দু শাস্ত্রমতে ১-১৬ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা যেকোনো বর্ণের ও গোত্রের কুমারীকে পূজা করার উল্লেখ রয়েছে। বয়স ভেদে কুমারীর নাম ভিন্ন হয়।
শাস্ত্র মতে, এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাতে মালিনী, আটে কুব্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসন্ধর্ভা, এগারোয় রুদ্রাণী, বারোয় ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দয়ে পীঠনায়িকা, পনেরোয় ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ষোল বছরে অম্বিকা বলা হয়ে থাকে।
মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য রাসেল দাশ বাংলানিউজকে জানান, শ্রেয়সী বিশ্বাস (তাথৈ) সেন্ট যোসেফস স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দেওয়ানজী পুকুর পাড় এলাকার ডা. বিপ্লব বিশ্বাস ও স্মৃতিকণা বিশ্বাসের বড় নাতনি। বাবা শ্যাম কুমার বিশ্বাস ও মা তনিমা বিশ্বাস টিনা।
শ্যামল সাধু মোহন্ত মহারাজ পূজার্থীদের উদ্দেশে বলেন, কুমারী আদ্যাশক্তি মহামায়ার প্রতীক। দুর্গার আরেক নাম কুমারী। মূলত নারীকে যথাযথ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে এ পূজা করা হয়। মাটির প্রতিমায় দেবীর যে পূজা করা হয় তারই বাস্তব রূপ কুমারী পূজা।
কুমারীতে সমগ্র জাতির শ্রেষ্ঠ শক্তি, পবিত্রতা, সৃজনী ও পালনী শক্তি সব কল্যাণী শক্তি সূক্ষ্ম রূপে বিরাজিত। কুমারী প্রতীকে জগৎজননীর পূজায় পরম সৌভাগ্য হয়। তিনি এক হাতে অভয় এবং অন্যহাতে বর দেন।
শ্রেয়সীর বাবা-মা জানান, মেয়ে কুমারী পূজার আসল অলংকৃত করতে পেরেছে এটা পরম সৌভাগ্যের।
এদিকে মহা অষ্টমী পূজা উপলক্ষে নগরের আসকার দীঘির পশ্চিম পাড়ের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে অঞ্জলি দিতে আসা ভক্তদের ঢল নেমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এআর/টিসি