সরেজমিন দেখা গেছে, বন্দরের ১ নম্বর জেটির উজানে সার্ভিস জেটি প্রকল্পের অধীনে ভূমি উন্নয়ন, শোর প্রোটেকশন, প্রশাসনিক, ভবন, পানির ট্যাংক, ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। চীন থেকে আনা হয়েছে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের ৩২ মিটার লম্বা ১৩৬টি পাইল।
চট্টগ্রাম: নগরের বারিক বিল্ডিং এলাকায় কর্ণফুলীর পাড়ে নির্মিত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘সার্ভিস জেটি’। ৮৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২২০ মিটার দীর্ঘ, ২০ মিটার প্রশস্ত জেটিটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতনু-ওহাব-এ বারিক (জেভি)।
সরেজমিন দেখা গেছে, বন্দরের ১ নম্বর জেটির উজানে সার্ভিস জেটি প্রকল্পের অধীনে ভূমি উন্নয়ন, শোর প্রোটেকশন, প্রশাসনিক, ভবন, পানির ট্যাংক, ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। চীন থেকে আনা হয়েছে ৯০০ মিলিমিটার ব্যাসের ৩২ মিটার লম্বা ১৩৬টি পাইল।
তিনি বলেন, এখানে আমরা জেটি ছাড়াও ২ হাজার ৬৫০ বর্গফুটের তিন তলা একটি অফিস ভবন, ৩ হাজার বর্গফুটের স্টিল কাঠামোর একটি গুদামঘর বা ওয়্যার হাউস, ২ হাজার ১০০ কিউবিক মিটারের একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পানির রিজার্ভার, ২২২ মিটার লম্বা, ৮ ফুট উঁচু রিটেইনিং ওয়াল, রিভার ব্যাংক ও শোর প্রোটেকশন, ড্রেনেজ সিস্টেম, ৫০০ কেভি’র বৈদ্যুতিক সাব স্টেশন, ১০০ ফুট উঁচু সিগন্যাল টাওয়ার তৈরি করছি। ২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি এ প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়েছি আমরা। ২০২২ সালের জুনে কাজটি শেষ করার কথা রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সরকার বাংলানিউজকে জানান, সার্ভিস জেটি প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করতে চাই আমরা। এখানে বন্দরের নিজস্ব জাহাজগুলো নিরাপদ আশ্রয়ে থাকবে। পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে পণ্য খালাসেও জেটিটি ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, সাড়ে ৫ মিটার ড্রাফটে ২২০ মিটার লম্বা জাহাজ ভিড়তে পারবে এ জেটিতে। ছোট জাহাজ হলে বেশ কয়েকটি একসঙ্গে ভিড়তে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি