ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দিনে ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বন্দরে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
দিনে ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বন্দরে দিনে ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে বন্দরে

চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরে চলতি মাসে প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজারের বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হচ্ছে। গত ২১ দিনে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ২০ ফুট দীর্ঘ (টিইইউ’স) হিসেবে ২ লাখ ১৪ হাজার ৯৮৫টি।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় হ্যান্ডলিং করেছে ১১ হাজার ২৬৫ টিইইউ’স। এর মধ্যে জাহাজ থেকে আমদানি পণ্যভর্তি কনটেইনার নামানো হয়েছে ৫ হাজার ৮০টি।

রপ্তানি পণ্য ভর্তি ৫ হাজার ৭৭৬টি কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছে। এ দুই খাতে মোট হ্যান্ডলিং হয় ১০ হাজার ৮৫৬ টিইইউ’স।
এর বাইরে পানগাঁও আইসিটির ১৭১ টিইইউ’স এবং ঢাকা কমলাপুর আইসিডির ২৩৮ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ২৪ ঘণ্টায়।

বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ৪৯ হাজার ১৮ টিইইউস কনটেইনার ধারণক্ষমতার বিপরীতে বর্তমানে রয়েছে ৪০ হাজার ৪২৪টি। এর মধ্যে আমদানি পণ্যভর্তি এফসিএল (ড্রাই) কনটেইনার সবচেয়ে বেশি, ৩১ হাজার ৮০৫টি। হিমায়িত পণ্য, ফল ভর্তি এফসিএল (রেফার) ১ হাজার ২৩৭টি। এলসিএল ৭২৮টি। আইসিডি (লোড) ১ হাজার ৩৪৯টি। পানগাঁও (লোড) ১২৮টি। এফসিএল (অফডক) খাতের কনটেইনারের জন্য জায়গা বরাদ্দ না থাকলেও কনটেইনার রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৬টি। মোট আমদানি পণ্যভর্তি ৩৭ হাজার ৬২০ টিইইউ’সের জায়গা বরাদ্দের বিপরীতে বন্দরে রয়েছে ৩৮ হাজার ৫৮৩টি। নিলামযোগ্য পণ্যভর্তি কনটেইনার জমেছে ৬ হাজার ১৬৭টি।   

তুলনামূলকভাবে রফতানি কনটেইনার রয়েছে কম। ১১ হাজার ৩৯৮ টিইইউ’স জায়গা বরাদ্দ থাকলেও এ খাতে কনটেইনার আছে মাত্র ১ হাজার ৮৪১টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০১টিই খালি কনটেইনার।

বর্তমানে এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবি মিলে ১৮টি কনটেইনারবাহী জাহাজে হ্যান্ডংলিং কার্যক্রম চলছে। বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ রয়েছে ৯টি জাহাজ।

বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, নতুন গ্যান্ট্রি ক্রেন, হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনের কারণে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের আধুনিক ব্যবস্থাপনা, অটোমেশন, বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেক হোল্ডারদের আন্তরিকতায় বন্দরের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের অর্থনীতির চাহিদা সামনে রেখে বে-টার্মিনাল, পিসিটি, লালদিয়া টার্মিনাল ইত্যাদি বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট রয়েছে।   

বাংলাদেশ সময়:  ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।