শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। আর পুলিশ অভিযান চালায় নগরের ফ্রেন্ডস ক্লাব ও শতদল ক্লাবে।
মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। পরে এ ক্লাব থেকে কিছু দূরে সদরঘাট এলাকার মোহামেডান ক্লাবে যায় র্যাবের একটি দল।
পরে নগরের হালিশহর এলাকার আবাহনী ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানেও একই ধরনের আলামত মেলে। কিন্তু চলমান অভিযানের ভয়ে কয়েকদিন আগে থেকে ক্লাবটি বন্ধ রাখা হয় এবং জুয়ার বোর্ডসহ খেলার বিভিন্ন সরঞ্জাম সরিয়ে ফেলা হয়। পরে আবাহনী লিমিটেডের ব্যানার সরিয়ে বাইরে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ব্যানার লাগানো হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নিজামউদ্দিন বলেন, অন্য দুটি ক্লাবের মতো এখানেও একই ধরনের আলামত মিলেছে। তবে ক্লাবটিতে কেউ ছিল না। ধারণা করছি, চলমান অভিযানের কারণে তারা জুয়া বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে আবাহনী লিমিটেড ক্লাবটি পরিচালনায় আছেন আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী এমপি। নামে ক্লাব হলেও সেখানে কোনো ক্রীড়া সামগ্রী নেই। প্রতিদিনই বসতো মদ ও জুয়ার আসর । লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলা চলতো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। টাকার বেশিরভাগ অংশ চলে যেত ওই এমপির তহবিলে। ক্লাবটি পরিচালনায় ওই এমপি থাকলেও নিয়ন্ত্রণ করতেন যুবলীগ নেতা সালেহ আহমেদ দীঘল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সালেহ আহমেদ দীঘল বাংলানিউজকে বলেন, যুবলীগের রাজনীতি করি বলে মাঝে-মধ্যে ওই ক্লাবে যেতাম। ক্লাবটির নিয়ন্ত্রণ বা অংশীদার কোনোটাই ছিলাম না। ক্লাবটি সরাসরি ওই এমপি পরিচালনা করতেন। তিনি বলেন, যুবলীগ করি বলেই কি আমার অপরাধ? এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অনিয়ম ও জুয়ার আসর পরিচালনায় সম্পৃক্তরা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি