ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ঋণ দিতে ব্রিফকেস নিয়ে ঢাকায় হাঁটছে বিদেশিরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
ঋণ দিতে ব্রিফকেস নিয়ে ঢাকায় হাঁটছে বিদেশিরা বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে হাজার হাজার লোক ঢাকায় ব্রিফকেস নিয়ে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশকে বিলয়নস অব ডলার ঋণ দিতে চায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, আইএমএফ, চাইনিজ ব্যাংকসহ অন্যরা। তাহলে কেনো আমরা ডোনার ফান্ড চাইবো?

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এসডিজি অর্জনে ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা শীর্ষক আঞ্চলিক সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বক্তব্য দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।                     <div class=

ছবি: বাংলানিউজ" src="https://www.banglanews24.com/media/imgAll/2019May/bg/bg20190921155347.jpg" style="margin:1px; width:100%" />

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। মাথাপিছু আয় দ্রুত বাড়ছে।

প্রয়োজন হলে আমরা ঋণ নেবো। আবার সময়মতো পরিশোধও করবো। কারণ আমরা সাদাকে সাদা বলতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যারা দেশ পরিচালনা করছি- উই উইল সেক্রিফাইস এভরিথিং, বাট নট আওয়ার ডিগনিটি।

এম এ মান্নান বলেন, দেশের মাইক্রোক্রেডিট প্রতিষ্ঠানসমূহের মাত্র ১ শতাংশ মূলধন ডোনার ফান্ড থেকে আসে। তাহলে এটা নিয়ে এতো কথা বলার কী আছে? ফান্ড যদি ইনসাফিসিয়েন্ট হয়, ভয়ের কিছু নেই। আমরা প্রয়োজনে ঋণ নেবো। তবে ডোনার শব্দটি ব্যবহার করা আমাদের জন্য অপমানজনক। উই ডোন্ট লাইক দিস।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭২, ৭৩ বা ৭৪ সালে অনেক ডোনেশন আসতো। আমরা সেগুলো নিতাম। এসব নিয়ে বিদেশিরা বাহাদুরি দেখাতো। কিন্তু এখন আর তাদের বাহাদুরি দেখার দরকার নেই। সোজা কথা- কেউ যদি বন্ধুত্বের হাত আমাদের প্রতি বাড়িয়ে দেয়, তা্হলে আমরাও হাত বাড়াবো। তবে প্রভুত্ব মেনে নেবো না।

আঞ্চলিক সম্মেলনে অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজ

এম এ মান্নান বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে মাইক্রোক্রেডিট কার্যক্রম চালাতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হয়রানির অভিযোগ করেছেন আপনারা। সার্ভিস চার্জ কমানোর এবং ঋণের সুদ সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো। দ্রুত যাতে এসব সমস্যার সমাধান হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো।

ব্রাকের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং সাবেক মূখ্য সচিব মো. আবদুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএনএম এর নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তফা কে. মুজেরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মমতার প্রধান নির্বাহী রফিক আহামদ, অন্তর সোসাইটি ফর ডেভলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা এমরানুল হক চৌধুরী, ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান, পেইজ ডেভলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।