শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ পার্কের ভিত্তি স্থাপন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। রেলওয়ে আমবাগান শহীদ শাহজাহান মাঠসংলগ্ন জায়গার ওপর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ পার্ক নির্মিত হচ্ছে।
রেলওয়ে জাদুঘরের নিচে অনেকটা ডিসি হিলের আদলে গড়ে তোলা হবে এ পার্ক। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
উদ্বোধনকালে চসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ, নাজমুল হক ডিউক, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, টিআইসির পরিচালক নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আবু সালেহ, প্রকৌশলী গোফরান উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী অলি আহমদ, উপসহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ পার্ক নির্মাণে কার্যাদেশ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এনজেডএইচ (জেবি)।
নগরবাসীর আনন্দ ও বিনোদনের সুবিধার জন্য চসিক এ উদ্যোগ নিয়েছে। পার্ক তৈরি হলে শিশুদের বিনোদনের সুযোগের পাশাপাশি নগরবাসীর আনন্দ বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ পার্ককে কিডস্ জোন, শিশুদের জন্য হাতি-ঘোড়ার রেপ্লিকা ও রাইডসহ খেলনা সামগ্রী, স্মৃতিসৌধ, ড্রেসিং রুমসহ মুক্তমঞ্চ, গ্যালারি, দর্শকদের বসার জায়গা, রেস্টুরেন্ট, শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের ম্যুরাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য দিকের বর্ণনা এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান করার সুযোগ থাকবে।
থাকবে আলোকায়নের ব্যবস্থা, বাগান, পার্কিং স্পেস, পারগোলা, পাবলিক টয়লেট, ওয়ার্ক ওয়ে, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিরাপদ হাঁটার জন্য আলাদাভাবে পেভিং টাইলস পথও থাকবে। শিশু পার্কের পাশাপাশি অনুষ্ঠানের জন্য একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে। যাতে সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এ মঞ্চে ১ হাজার দর্শক বসতে পারবে।
সবুজের সমারোহে সাজানো গোছানো এলাকাটি যেকোনো মানুষকে ক্ষণিকের জন্য আনন্দ দেবে। এ পাহাড়ের ওপর রয়েছে শতাব্দীর পুরানো রেলওয়ের জাদুঘর। তার নিচে এক টুকরো সমতল। পাহাড়ের গাছগাছালি সমতলে সবুজ ঘাস নয়নাভিরাম দৃশের মাঝে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল শিশু পার্ক। জায়গারটির মালিক রেলওয়ে। পার্কটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মেয়র বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামকে গ্রিন ও ক্লিন নগরে পরিণত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। টাইগারপাস, দেওয়ানহাটসহ পুরো নগরে বিলবোর্ড উচ্ছেদ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিলবোর্ড উচ্ছেদের কারণে নগরবাসী এখন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। আমরা চাই নদী, সাগর ও পাহাড়ের মেলবন্ধনে চট্টগ্রামের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এআর/টিসি