ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গা ঢাকা দিয়েছে জুয়ার আসর পরিচালনায় জড়িতরা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
গা ঢাকা দিয়েছে জুয়ার আসর পরিচালনায় জড়িতরা প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম: ঢাকায় অভিযানের প্রেক্ষিতে নগরে প্রতিষ্ঠিত প্রায় অর্ধশত ক্লাবে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব উদ্যোগে বন্ধ রাখা হয়েছে জুয়ার আসর। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে নগরের বিভিন্ন ক্লাব ও বারে সিএমপির অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দিয়েছেন জুয়ার আসর পরিচালনায় জড়িত প্রভাবশালীরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামে অভিজাত ক্লাবগুলোতে প্রতিদিন জুয়ার বোর্ড থেকে আয় হয় লক্ষাধিক টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জ্ঞাতসারেই এসব ক্লাব ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে বাসা-বাড়ি ও সামাজিক সংগঠনের কক্ষে বসে জুয়ার আসর।

নামি-দামি হোটেলেও চলে জুয়া খেলা। ক্লাবগুলোতে জুয়ার বোর্ড বসিয়ে সাপ্তাহিক, মাসিক বা দৈনিক ভিত্তিতে টাকা তোলা হয়।
এসব টাকা যায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও ক্লাব পরিচালনায় জড়িত কর্মকর্তাদের পকেটে। একইসঙ্গে চলে নেশাজাতীয় দ্রব্যের বিকিকিনি ও অসামাজিক কার্যকলাপ।

নগরে মোহামেডান ক্লাব, আবাহনী ক্লাব, চট্টগ্রামে ফ্রেন্ডস ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, অফিসার্স ক্লাব, ওয়াজি উল্লাহ ইনস্টিটিউট, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ক্লাব, বন্দর রিপাবলিক ক্লাব, পুলিশ প্লাজাসহ চকবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ডবলমুরিং, জিইসি, অক্সিজেন, পাথরঘাটা, বিআরটিসি ও পাহাড়তলী এলাকায় অনুমোদিত যেসব বার এবং ক্লাবে দীর্ঘদিন ধরে বসছে জুয়ার আসর। আর জুয়ার টাকায় চলছে ক্লাবগুলো পরিচালনার আনুষঙ্গিক খরচ। জুয়া খেলে অনেকে নিঃস্বও হয়েছেন।

ঢাকায় যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন ইয়াং মেন্স ক্লাব সহ কয়েকটি ক্যাসিনোতে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর চট্টগ্রামে তৎপর হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ইতোমধ্যে কোতোয়ালী থানাধীন নন্দনকানন বোস ব্রাদার্সের পাশে পুলিশ প্লাজায় অবস্থিত একটি ক্যাসিনো এবং অক্সিজেন এলাকার একটি ক্লাবে জুয়ার আসর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোহামেডান ক্লাবে বন্ধ রাখা হয়েছে জুয়া খেলা, তালা ঝুলছে অন্যান্য ক্লাবগুলোতেও। এখন জুয়াড়িরা আছে আতঙ্কে।

সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, জুয়ার কারণে পরিবারে অশান্তি ও বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটছে। অনেকে জুয়া খেলাকে পেশায় পরিণত করেছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন সবগুলো বার ও ক্লাবে জুয়ার আসর বন্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। এর নেপথ্যে যত বড় প্রভাবশালী থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। চট্টগ্রামে এধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।