বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৫০তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভালো কিছু করতে হলে টিম ওয়ার্কের বিকল্প নেই।
মেয়র বলেন, নগর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য ডোর টু ডোর প্রকল্প নেওয়া হয়। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২ হাজার সেবক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য চসিককে অতিরিক্ত ২৮ কোটি টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কর্মস্থলে আগমন এবং প্রস্থান সার্বিকভাবে মনিটরিং করতে হবে কাউন্সিলরদের।
কাউন্সিলরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র এবং কাউন্সিলররা একে অপরের পরিপূরক। আপনারা এলাকায় ভালো কাজ করলে মানুষ আপনাদের ভালো জানবে, আপনাদেরকে ভালো জানলে আমাকেও ভালো জানবে। তাই এলাকায় এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যাতে নগরবাসীর দুর্ভোগ ও সমস্যার সৃষ্টি হয়। জনগণের সেবক হিসেবে নিজকে গড়ে তোলার মন-মানসিকতা নিয়ে এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে।
মেয়র জাইকার অর্থায়নে নিমতলা থেকে অলংকার পর্যন্ত সড়ক এবং আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সদিচ্ছা ব্যক্ত করেন। ডিটিটি রোড, আরাকান সড়ক, হাটহাজারী সড়ক, এয়ারপোর্ট রোড এবং বায়েজিদ বোস্তামী রোডের কাজও শেষ করার নির্দেশনা দেন।
থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ, লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এআর/টিসি