বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের সুঁইপুরা গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার ৬ ঘণ্টা পর মাটি খুঁড়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হত্যার শিকার হওয়া শিশুটি সুঁইপুরা গ্রামের দুবাই প্রবাসী মো. মামুনের ছেলে।
তিনি বলেন, মামুন ও তার ভাই নুরুল আবছারের মধ্যে টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়। দুবাই প্রবাসী মামুন তার ভাই নুরুল আবছারের মাধ্যমে বছরখানেক আগে প্রায় এক লাখ টাকা পাঠান। তার স্ত্রীকে ওই টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তিন-চারমাস পার হলেও দেননি। স্ত্রী বিষয়টি মামুনকে জানান। পরে মামুন বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
ওসি মো. শফিউল কবীর বলেন, ছয় মাস আগে মামুন আবার দুবাই চলে যান। কিন্তু দুই ভাইয়ের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া চলতো। বুধবার বিকেলে প্রবাসী মামুনের স্ত্রী রীনা তার ছেলেকে শ্বাশুড়ির হেফাজতে রেখে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। এর ফাঁকে ওই শিশুকে আবছারের স্ত্রী মারুফা গলাটিপে খুন করে মরদেহ বাড়ির নলকূপ সংলগ্ন মাটিতে চাপা দেন।
পরে রীনা বাসায় ফেরার পর ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নলকূপের পাশে নরম মাটি দেখে তাদের সন্দেহ হলে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন মা রীনা আক্তার।
এ ঘটনায় রীনা আক্তার বাদি হয়ে অভিযুক্ত মারুফা ও তার স্বামী আবছারের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
জেইউ/টিসি