বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচিং মাস্টার ক্যাপ্টেন মোবারকের তত্ত্বাবধানে জাহাজটি শিপ ইয়ার্ডে আনা হয়।
শীতলপুরের গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে আগামী ৮ মাস চলবে জাহাজটির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়ার কাজ।
গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এমটি আটবন’ জাহাজটির আগে নাম ছিল ‘এমটি ওয়াটবন’।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জাহাজটি আমদানি বাবদ ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছি সরকারি কোষাগারে।
তরুণ এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্প নিয়ে একসময় নেতিবাচক প্রচারণা ছিল দেশে-বিদেশে। ম্যাগনেটিক ক্রেনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে উন্নত প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহারসহ নানা উদ্যোগের কারণে এ শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। ইতিমধ্যে পিএইচপি শিপইয়ার্ড গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। আশাকরছি আমরা এক-দেড় বছরের মধ্যে গ্রিন ইয়ার্ডর স্বীকৃতি পাবো। এ লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।
তিনি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’ জাহাজ কাটা হয়েছে আমাদের ইয়ার্ডে। একসময় প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমে কমছে। বর্তমানে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন আমাদের ইয়ার্ডে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি