ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেষ গন্তব্যে আছড়ে পড়লো দৈত্যাকার জাহাজটি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
শেষ গন্তব্যে আছড়ে পড়লো দৈত্যাকার জাহাজটি গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে বিচিং করা এমটি আটবন

চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড উপকূলে যখন ৪৮ হাজার ১০০ টন ওজনের খালি জাহাজটি সর্বোচ্চ বেগে আছড়ে পড়লো তখন বিকেল তিনটা। ১৯৯৫ সালে জাপানে তৈরি ‘এমটি আটবন’ জাহাজটির এটিই শেষ গন্তব্য। জাহাজটি ব্যবহৃত হতো সৌদি আরব থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) পরিবহনের কাজে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচিং মাস্টার ক্যাপ্টেন মোবারকের তত্ত্বাবধানে জাহাজটি শিপ ইয়ার্ডে আনা হয়।

শীতলপুরের গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে আগামী ৮ মাস চলবে জাহাজটির অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুলে নেওয়ার কাজ।

ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল স্ক্র্যাপ, বিভিন্ন পুরুত্বের লোহার পাত, লোহা ও প্লাস্টিকের পাইপ, আসবাবপত্র, ক্যাবল বা বৈদ্যুতিক তার, জাহাজের ইঞ্জিন, শেকল, নোঙর, জেনারেটর, সিঁড়ি, তৈজসপত্র, স্যানিটারি আইটেমসহ অর্ধশতাধিক পদের পণ্য মিলবে এ জাহাজে।

গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে ‘এমটি আটবন’গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এমটি আটবন’ জাহাজটির আগে নাম ছিল ‘এমটি ওয়াটবন’।

এটির দৈর্ঘ্য ৩৪০ মিটার, প্রস্থ ৫৬ মিটার, উচ্চতা ১১ দশমিক ৪ মিটার। জাহাজটির তেল পরিবহন ক্ষমতা ছিল ৩ লাখ ২০ হাজার টন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে স্ক্র্যাপ জাহাজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। চার দিন আগে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসে। এরপর বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর, কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দফতরের পরিদর্শন, ছাড়পত্র ও ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধের পর জাহাজটি বিচিং করা হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে জাহাজটি আমদানি বাবদ ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব জমা দিয়েছি সরকারি কোষাগারে।

গোল্ডেন আয়রন ওয়ার্কস লিমিটেডের ইয়ার্ডে ‘এমটি আটবন’তরুণ এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা শিল্প নিয়ে একসময় নেতিবাচক প্রচারণা ছিল দেশে-বিদেশে। ম্যাগনেটিক ক্রেনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন, বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে উন্নত প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহারসহ নানা উদ্যোগের কারণে এ শিল্পের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। ইতিমধ্যে পিএইচপি শিপইয়ার্ড গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। আশাকরছি আমরা এক-দেড় বছরের মধ্যে গ্রিন ইয়ার্ডর স্বীকৃতি পাবো। এ লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা।

তিনি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিনশ’ জাহাজ কাটা হয়েছে আমাদের ইয়ার্ডে। একসময় প্রচুর শ্রমিক কাজ করতেন। আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের কারণে শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমে কমছে। বর্তমানে চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন আমাদের ইয়ার্ডে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।