২০১৩ সালে কেন্দ্র থেকে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে সম্মেলন করে নগর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটি হয়নি ছয় বছরেও।
অন্যদিকে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয় ২০১০ সালে।
এ অবস্থায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী অক্টোবরে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন নেতা-কর্মীদের। এর মধ্যে সম্মেলনে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করতে তালিকা তৈরির কাজও চলছে।
কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে ২৫ জনের তালিকা দেওয়া হবে। নগরে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং জেলায় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ তালিকা করতে বলা হয়েছে।
যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু নগর ও উত্তরে এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল হককে দক্ষিণ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কাজ চলছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রে এ তালিকা পাঠাতে হবে।
যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে আমরা গ্রহণযোগ্য একটি সম্মেলন করতে চাই। সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হবে। কাউন্সিলরদের ভোটেই নেতা নির্বাচন করা হবে। সিলেকশন করে কোনো কমিটি দেওয়া হবে না।
সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণের কাউন্সিলরের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রেসিডিয়াম সদস্য এলাকার সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য ও মেয়রের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হয়ে ওয়ার্ডভিত্তিক নামের তালিকা বিষয়ে কথা বলেছেন।
এদিকে অক্টোবরে সম্মেলনের খবরে পদ প্রত্যাশী অনেক নেতা নতুন কমিটিতে স্থান পেতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছেন।
চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আব্দুল মান্নান ফেরদৌস, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুরজিৎ বড়ুয়া লাভু, নগর যুবলীগের সদস্য নুরুল আনোয়ার চৌধুরী বাহার।
উত্তর জেলায় বর্তমান সভাপতি এস এম আল মামুন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদ, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি খালেদ মাহমুদ, রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, হাটহাজারী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকতার হোসেন।
অন্যদিকে দক্ষিণ জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রহিম, জেলার যুগ্ম সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী মুরাদ, কর্ণফুলী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল আলম দিদার ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সোলাইমান|
বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
টিসি