সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কবিতা খানম বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে যাতে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র না পৌঁছে সে ব্যাপারে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তারা খুবই অ্যালার্ট। অলরেডি কিছু রোহিঙ্গাকে শনাক্তও করেছেন। ২০০৭-০৮ সালে নির্ভুল ভোটার তালিকা উপহার দিয়েছি। নির্বাচন কর্মকর্তারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। কোনো নির্বাচন কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় আনবে না। জন্মনিবন্ধনসহ অনেক কিছু দেখে ভোটার করা হয়। তাদের সেই সুযোগ নেই।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নেওয়া আছে। সেই কপি আমরা নিয়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনেও বায়োমেট্রিক নিচ্ছি। ভোটার তালিকা করার আগে চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকার ক্রসমেসে যদি মিলে যায় তাহলে তারা তো শনাক্ত হয়ে যাবে। রোহিঙ্গা যদি তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে, তবে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছি। এটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু গ্রেফতারও হয়েছে।
২০১৪ সালে ল্যাপটপ হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন মামলা হয়েছে। তদন্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তদন্তের মাধ্যমে যদি দেখা যায় কেউ জড়িত তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় অ্যাকশন আছে। যদি বাইরের কেউ হয় তবে ফৌজদারি অ্যাকশন হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অ্যাকশনের বাইরে কিন্তু ফৌজদারি অ্যাকশনের সুযোগ আছে। তদন্তে যদি দোষী হয়, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ২১ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
এআর/এসি/টিসি