এ তিনজনই মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে তদবির শুরু করেছেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করছেন।
গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম।
এ অবস্থায় বিএনপি থেকে নতুন প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান আলোচনায় রয়েছেন। এছাড়া কারাগারে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর নামও আলোচনায় আছে। তবে মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত জাতীয় নির্বাচনে কোতোয়ালী আসনে প্রার্থী ছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। কিন্তু এ আসনে নির্বাচন করার কথা ছিলো সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করের। ওই সময়ে ডা. শাহাদাত তাকে বলেছিলেন- মেয়র পদে নির্বাচনে তাকে সুযোগ দেবেন। ডা. শাহাদাতের এমন আশ্বাসে আবুল হাশেম বক্কর ওই সময় কোতোয়ালী আসনে প্রার্থী হননি।
কিন্তু এখন ডা. শাহাদাত মেয়র পদে প্রার্থী হতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। তবে দুজনই এখন বলছেন, দলের সিদ্ধান্তের ওপর তাদের আস্থা রয়েছে।
ডা. শাহাদাত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দলের সিদ্ধান্তই মুখ্য। আমি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখানে ৪১টি ওয়ার্ড রয়েছে। সব ওয়ার্ডেই আমার যাতায়াত আছে।
আবুল হাশেম বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ ডিসেম্বর আগের রাতে ডাকাতি করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহ রয়েছে। তবুও দল যদি নির্বাচনে যায়, আমি প্রার্থী হতে চাই।
আবু সুফিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার আসন বোয়ালখালীতে প্রতিদিনই কাজ করে যাচ্ছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আন্দোলন করছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে পুরোদমে মাঠে নামবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯
জেইউ/এসি/টিসি