ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাকলিয়া এক্সেস রোডের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
বাকলিয়া এক্সেস রোডের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ বাকলিয়া এক্সেস রোড।

চট্টগ্রাম: বাকলিয়া এক্সেস রোডের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে নির্মাণাধীন রোডের অ্যালাইনমেন্টের ওপর গড়ে ওঠা একটি ভবনের কারণে থমকে গেছে কাজ। এ ছাড়া বাড়ানো হচ্ছে মেয়াদ ও ব্যয়।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। সিডিএর ১৯৯৫ সালের মাস্টারপ্ল্যানে সড়কটি নির্মাণের প্রস্তাবনা ছিলো।

ডিপিপি অনুযায়ী দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৬০ ফুট চওড়া সড়কটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ছিলো ২০৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। প্রকল্প মেয়াদ  জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত।

নকশা অনুযায়ী, চন্দনপুরা মসজিদের সামনে থেকে সড়কটি শাহ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক তথা বাকলিয়া থানার পাশে গিয়ে মিলিত হবে। এর আগে মধ্যে চাক্তাই খালের ওপর দিয়ে ডিসি রোড হয়ে বগার বিল দিয়ে সড়কটি তৈরি হবে।

বাকলিয়া এক্সেস রোড। সরেজমিন দেখা যায়, শান্তিবাগ থেকে ডিসি রোড পর্যন্ত কাজ বন্ধ। দুই জায়গার মধ্যে মতিন সিটিতে ১০ তলা ‘বাবে ইউসুফ’ নামে ভবনটির অবস্থান। ভবনটি সিডিএ অনুমোদিত। তবে সড়কের অন্যান্য অংশে কাজ চলছে।

প্রকল্পের মূল কাজের মধ্যে রয়েছে- ৪৩৭ দশমিক ৩৩ কাঠা জমি অধিগ্রহণ, ১টি করে আরসিসি-পিসি সেতু, ৮টি ক্রস কালভার্ট, ফুটপাত কাম ড্রেন ৬০৫৪ দশমিক ৮৮ মিটার, ডিভাইডার ১২২১ দশমিক ৯৫ মিটার, রিটেইনিং ওয়াল ১২২১ দশমিক ৯৫ মিটার ও সড়ক নির্মাণ ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে প্রকল্পের আওতায় ৭০০ মিটার ড্রেন ও সাববেইজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। চাক্তাই খালের ওপর দুটি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে মূল শহরের সংযোগ স্থাপন ও বিকল্প রাস্তা সৃষ্টি হবে। এতে শহরের যানজট ও দূরত্ব কমবে।

তবে সংশোধিত ডিপিপি অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় জমি অধিগ্রহণ কাজ থমকে আছে। ফলে এখনও যেসব স্থানে জমি অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি, সেখানে কাজও শুরু হয়নি।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন সড়কের অ্যালাইনমেন্টের ওপর গড়ে ওঠা একটি ভবনের ক্ষতিপূরণ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ভবনটি অপসারণ ছাড়া কাজ করা সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর চিঠিও গেছে।

প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৩৯ দশমিক ১৬ শতাংশ ও ভৌত অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। একটি ভবন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ভবনটির ক্ষতিপূরণ প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ অর্থ প্রকল্প ব্যয়ে অন্তর্ভুক্ত ছিলো না। সেজন্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ক্ষতিপূরণের অর্থ বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর চিঠিও গেছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এসইউ/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।