ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডা. আকাশের আত্মহত্যা: ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
ডা. আকাশের আত্মহত্যা: ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

চট্টগ্রাম: ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন। এরপর সেটি  যায় মহানগর হাকিম আদালতে।

অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- মিতুর মা শামীমা শেলী, বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং মিতুর কথিত বন্ধু ডা. মাহবুবুল আলম।

মামলার ছয় আসামির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ভারতীয় নাগরিক উত্তম প্যাটেলকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ডা. আকাশকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মিতু, তার বাবা-মা ও বোন এবং ডা. মাহবুবুল আলমসহ ৫ জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে। অভিযোগপত্রটি সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামি প্যাটেল যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় এবং বাংলাদেশে কোনো অপরাধে যুক্ত না থাকায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

ডা. আকাশ চন্দনাইশের বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে। নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাড়িতে পরিবার নিয়ে তিনি বসবাস করতেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ডা. আকাশের মা জোবেদা খানম বাদি হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন। ৩২ বছর বয়সী ডা. আকাশ থ্রি ডক্টরস নামে মেডিকেল ভর্তির একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। তার স্ত্রী মিতু কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পাস করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন করেন। সেখানেই ডা. আকাশের সঙ্গে তার পরিচয় এবং ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান মিতু। সেখান থেকে গত ১৩ জানুয়ারি দেশে ফেরেন।

৩১ জানুয়ারি ভোরে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় ইনজেকশনের মাধ্যমে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগ করে আত্মহত্যা করেন আকাশ। আত্মহত্যার আগে ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক ও প্রতারণার অভিযোগ করেন। এর প্রমাণ হিসেবে মিতুর সঙ্গে তার বন্ধুদের বেশ কিছু ছবিও তিনি ফেসবুকে আপলোড করেন।

ওইদিন রাতে নন্দনকানন এলাকায় আত্মীয়ের বাসা থেকে মিতুকে আটক করে পুলিশ। আগস্টের শেষ সপ্তাহে উচ্চ আদালত থেকে এ মামলায় জামিন নেন মিতু। অন্য আসামিরা এখনো পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।