ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে জার্মানিদের বিনিয়োগের আহ্বান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে জার্মানিদের বিনিয়োগের আহ্বান বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম

চট্টগ্রাম: মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কাজে লাগিয়ে জার্মান বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের শিল্প স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।  

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার নেতাদের সঙ্গে ওএভি জার্মান এশিয়া-প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্কিত এ সভায় প্রতিনিধি দলের ১৮ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল এবং অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। জার্মানির সহযাগিতা আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আমাদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সুশাসন, পরিবেশ উন্নয়ন, টেক্সটাইল খাতে মানোন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কুফল মোকাবেলায় তাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।

প্রতি টন কাঁচা পাটে মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে ১০ গুণ বেশি মূল্যের পণ্য তৈরি করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, পলিয়েস্টার উলের সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটিয়ে পাটের নতুন পণ্য উৎপাদন সম্ভব।

চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, জার্মান এশিয়া প্যাসিফিক বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের এ সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। উভয় দেশের অত্যন্ত গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক স্বার্থের ভিত্তিতে আগামী দিনে আরও গভীর হবে।

প্রতিনিধি দলের প্রধান পিটার ক্লাসেন বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এ সফরের মূল লক্ষ্য। চট্টগ্রাম বন্দরের কারণে এ অঞ্চলের ব্যবসায়িক গুরুত্ব অত্যধিক। বন্দরের চলমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়ন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বাংলাদেশের মানবসম্পদ এদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। শিল্পের ক্ষেত্রে বিশেষ করে হস্তশিল্পের ক্ষেত্রে এদেশের শ্রমিকদের কাজ অত্যন্ত চমৎকার। এ সম্পদ কাজে লাগানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

এ অঞ্চলে অনেক মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে জলপথ ও সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

জামার্ন দূতাবাসের উপ-প্রধান বুর্খার্ড ডুকোফ্রে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে যেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণ করতে হবে।

জার্মানি এক্ষেত্রে সব সময় সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি জানান।

জার্মান সরকারের জ্বালানি ও অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় উপ-প্রধান আরণে কূপার বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

জার্মানির অনারারি কনসাল শাকির ইস্পাহানী চট্টগ্রামে শিল্প স্থাপনের জন্য প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানান।

বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক এসএম আবু তৈয়ব, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. শাহরিয়ার জাহান ও নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, ইতালির অনারারি কনস্যুল মীর্জা সালমান ইস্পাহানী, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।