বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মনজুরুল হক।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, প্রতিষ্ঠানটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত খাবারের ক্যান্টিন, ফটোকপির দোকান ও অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের দোকানের কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দালালির কাজ করছিলেন।
খোদ বিআরটিএর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে এসব কর্মচারীর দালালির বিষয়টি গণমাধ্যমে এলে সমালোচনার ঝড় উঠে।
অভিযানে দালালির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফটোকপি দোকানের কর্মচারী মো. আরমানকে ১ মাস, সাজু বিশ্বাসকে ১৫ দিন, মো. ইমরানকে ১৫ দিন, বিআরটিএ প্রাঙ্গণ থেকে আটক জাহেদুল ইসলাম রনিকে ১ মাস এবং মো. বেলাল হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক আহমদ চৌধুরীর প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা দুটি দোকান সীলগালা করে দেওয়া হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বাংলানিউজকে জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিআরটিএ কার্যালয় প্রাঙ্গণে দালালদের ধরতে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করি। এরপর কৌশল পাল্টায় তারা। অনেকে কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থিত দোকানের কর্মচারী সেজে দালালি করছিলো।
তিনি বলেন, এসব কর্মচারী ফটোকপি কিংবা খাবারের দোকানে বসে বিআরটিএতে সেবা নিতে আসা লোকজনকে বিভ্রান্ত করতো। প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো। এ রকম পাঁচ দালালকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
‘কোনো দালালের স্থান বিআরটিএ প্রাঙ্গণে হবে না। ’ যোগ করেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের এ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এমআর/টিসি