কেন এমন উদ্যোগ- এ প্রশ্নে তিনি বললেন, জরুরী মুহূর্তে এলাকা থেকে রোগীকে হাসপাতালে পাঠাতেই মূলত অ্যাম্বুলেন্সটি কিনেছি। একজন ভুক্তভোগী হিসেবে ওই সময়ে রোগী ও তার অভিভাবকদের কি অবস্থায় পড়তে হয়- তা আমি ভালোভাবেই বুঝেছি।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ এর বাবা একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আশপাশে ছিল না কোনো অ্যাম্বুলেন্স।
তিনি বলেন, ‘তখন থেকেই আমার ইচ্ছে ছিল এলাকার মানুষের জন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করবো। সিটি করপোরেশন থেকে আমি যে সম্মানি পেয়েছি, সেই টাকা এবং এক বন্ধুর সহযোগিতা নিয়ে আধুনিক মানের একটি অ্যাম্বুলেন্স কিনেছি’।
জাপান থেকে আমদানি করা প্রায় ১২ লাখ টাকা দামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই অ্যাম্বুলেন্সে আছে জরুরী সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা। এটি বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে এলাকার মানুষের জন্য।
কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ জানান, অ্যাম্বুলেন্সটি জরুরী রোগী আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হবে। এজন্য নূন্যতম ফি ধরা হয়েছে মাত্র ২শ টাকা। এই টাকা অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও গাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে একটি হটলাইন নম্বর দেওয়া হবে, যাতে এলাকার মানুষ যে কোনো মুহূর্তে অ্যাম্বুলেন্সের সেবা পেতে পারে। ২৪ ঘণ্টা সেবা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯
এসি/টিসি