সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুতের বিভিন্ন সমস্যা ও দুর্ভোগের সমাধানের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চট্টগ্রামের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেনের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, বিদ্যুৎ হচ্ছে সভ্যতার লাইফ লাইন।
অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে শত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে গিয়ে শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ উৎপাদন এগিয়ে যাচ্ছে। ঠিক তেমনি ভাবে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিভাগও জনগণের কল্যাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে
সম্প্রতি হঠাৎ করে নগরজুড়ে লোডশেডিং, ট্রিপ এবং সাটডাউনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে জানিয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি, গড় বিল এবং লো ভোল্টেজের কারণেও গ্রাহকরা কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছে। এ সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে বিদ্যুতের গ্রাহক ভোগান্তি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে হবে।
নিম্নআয়ের গ্রাহকদের বৈধ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসতে স্পট মিটার সংযোগের কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অনুরোধ জানান সুজন।
তিনি দ্রুততার সঙ্গে পুরো চট্টগ্রামে অসমাপ্ত প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করে সরকারের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
বিউবো’র প্রধান প্রকৌশলী প্রথমেই নাগরিক উদ্যোগের নেতাদের বিদ্যুৎ ভবনে জনগণের পক্ষে মতবিনিময় করতে আসায় ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। আর বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আমরা সবাই হচ্ছি জনগণের সেবক। সে লক্ষ্যে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই প্রধানমন্ত্রীর একক পদক্ষেপের কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসব শুরু হয়েছে যা এককথায় অকল্পনীয়। অত্যাধুনিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। এতে একদিকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে অন্যদিকে জনগণও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছে। একটি দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য দরকার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং সেটা জনগনের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলো ছিলো অনেক পুরানো। সাবস্টেশন ছিল অপ্রতুল। প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যেতো। গ্রাহকরা দিনের পর দিন ট্রান্সফরমারের অভাবে ভোগান্তিতে পড়তো। বিদ্যুৎ অফিসের গোডাউনে পর্যাপ্ত পরিমাণ মালামাল মজুদ রয়েছে যা চাহিবা মাত্রই জনগণের সেবায় সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে দুইটি বৃহৎ প্রকল্প চলমান রয়েছে যেগুলো পুরোপুরি সমাপ্ত হলে জনগণ বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে শতভাগ সেবা পাবেন।
তিনি বলেন, ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। প্রি-পেইড মিটার পুরোপুরি স্থাপিত হলে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবে
তিনি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট সৃষ্ট আগুন থেকে রক্ষা পেতে কলকারখানা, বিপণিকেন্দ্র, বহুতল ভবন এবং বাসা বাড়িতে মানসম্মত ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান প্রকৌশলী মো. ইমাম হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিএম জাহাঙ্গীর, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ওবায়দুল ইসলাম, উপ-পরিচালক ছালেহ আহমদ, মো. ইলিয়াছ, সংগঠনের সদস্যসচিব মো. হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, এজাহারুল হক, মো. শাহজাহান, মো. সেলিম, এএসএম জাহিদ হোসেন, সোলেমান সুমন, সমীর মহাজন লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, স্বরূপ দত্ত রাজু, হাসান মো. মুরাদ, সরওয়ার্দী এলিন, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
এআর/টিসি