ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই কোটি টাকা পাচার, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা কাস্টমসের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
দুই কোটি টাকা পাচার, ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা কাস্টমসের

চট্টগ্রাম: এক বছর আগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মেশিনারি পণ্য ও তৈরি পোশাক কারখানার ফেল্ট (ফোম জাতীয় কাপড়) ঘোষণায় সিগারেটের চালান এনেছিলো গ্রামবাংলা ফুড করপোরেশন ও  এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনসহ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এ ঘটনায় সিএমপির বন্দর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন।

  

তিনি জানান, ঢাকার ২৪/এ পুরানা পল্টনের নওয়াব আলী টাওয়ারের ঠিকানায় মেসার্স গ্রামবাংলা ফুড করপোরেশনের মালিক দেওয়ান বুলবুল ইসলাম (৫১), নূর আল মামুন রুবেল, আওলাদ জান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মেশিনারি পণ্য ঘোষণায় সিগারেট আমদানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করায় কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের  সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার মণ্ডল মামলা (নম্বর: ৪৪) করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ভ্যালু ছিল ৮ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৯০ টাকা।

মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা সিগারেটের শুল্কায়ন যোগ্য মূল্য ৭৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অর্থাৎ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৬৭ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০ টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। সিগারেট আমদানি করে প্রতিষ্ঠানটি সাড়ে ৪ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করেছেন।

কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার ১৬১ মতিঝিলের রহমান ম্যানশনের ঠিকানার মেসার্স এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আব্দুল বারিক (৬১) ও মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর: ৪৫) করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটির এলসি ভ্যালু ছিলো ৫ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৫ টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় আনা সিগারেটের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিদেশে পাচার হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ২০৫ টাকা। সিগারেট আমদানি করে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, মানি লন্ডারিং আইনে দুইটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।