জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনুমোদনসহ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) এ ঘটনায় সিএমপির বন্দর থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. নূর উদ্দিন মিলন।
তিনি জানান, ঢাকার ২৪/এ পুরানা পল্টনের নওয়াব আলী টাওয়ারের ঠিকানায় মেসার্স গ্রামবাংলা ফুড করপোরেশনের মালিক দেওয়ান বুলবুল ইসলাম (৫১), নূর আল মামুন রুবেল, আওলাদ জান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মেশিনারি পণ্য ঘোষণায় সিগারেট আমদানির মাধ্যমে অর্থ পাচার করায় কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার মণ্ডল মামলা (নম্বর: ৪৪) করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির আমদানি ঋণপত্র (এলসি) ভ্যালু ছিল ৮ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ লাখ ৪৫ হাজার ২৯০ টাকা।
কাস্টম হাউসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিটের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার ১৬১ মতিঝিলের রহমান ম্যানশনের ঠিকানার মেসার্স এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আব্দুল বারিক (৬১) ও মো. কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর: ৪৫) করেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির এলসি ভ্যালু ছিলো ৫ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৫ টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় আনা সিগারেটের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিদেশে পাচার হয়েছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৮ হাজার ২০৫ টাকা। সিগারেট আমদানি করে ৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, মানি লন্ডারিং আইনে দুইটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এআর/টিসি