মানবিক মানুষ হিসেবে তাকে সবাই চেনেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগে অসহায়দের হৃদয়ের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
'জন্মজয়' প্রথম প্রকাশ হয় ২০০৬ সালে।
বাদল সৈয়দ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দেন একদল তরুণ। তারা এসব রোগীদের চিকিৎসfসহ যাবতীয় দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যে অনেকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন। হাসপাতালে গড়ে উঠেছে অজ্ঞাত রোগী কর্নার। তাই নিজের ভেতর এসব অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে কাজ করার আগ্রহ জাগে।
‘এর আগে আমার যেসব বই বিক্রি হয়েছে, সে টাকাগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়েছিলাম। এবার আমি বেশ আনন্দিত কারণ জন্মজয় বইটির টাকা অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণের জন্য ব্যয় হবে জেনে। ’
চমেক হাসপাতালে আসা অজ্ঞাত রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন সাইফুল ইসলাম নেছারসহ একাধিক তরুণ। ফেনীর ছাগলনাইয়ার এ তরুণ অজ্ঞাত রোগীদের বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন।
বাংলানিউজকে সাইফুল ইসলাম নেছার বলেন, বাদল সৈয়দ একজন মানবিক মানুষ। এর আগেও তিনি অজ্ঞাত রোগীদের সহযোগিতা করেছেন। এবার তিনি নিজের লেখা বই জন্মজয় বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয় হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।
‘সুস্থ হওয়ার পর অনেক রোগীর স্বজনের খোঁজ মেলে না। ফলে তাদের ঠিকানা হয় অলিগলি-রাস্তায়। সেবার অভাবে অনেকে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ’
সাইফুল ইসলাম নেছার বলেন, এজন্য আশ্রয়হীন অজ্ঞাত রোগীদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এটার জন্য ফান্ড দরকার, তবে এ কাজটা জন্মজয় বইটি বিক্রির টাকা দিয়ে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
এসইউ/টিসি