ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যে বই বিক্রির টাকা ব্যয় হবে অজ্ঞাত রোগীর কল্যাণে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
যে বই বিক্রির টাকা ব্যয় হবে অজ্ঞাত রোগীর কল্যাণে যে বই বিক্রির টাকা ব্যয় হবে অজ্ঞাত রোগীর কল্যাণে

চট্টগ্রাম: নানা সময়েই অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ আবু দাউদ, যিনি বাদল সৈয়দ নামে পরিচিত। সরকারি এ কর্মকর্তা এবার নিজের লেখা বই ‘জন্মজয়’ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয় হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।

মানবিক মানুষ হিসেবে তাকে সবাই চেনেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি উদ্যোগে অসহায়দের হৃদয়ের জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।

বয়স্ক মা-বাবাদের বিনোদন কেন্দ্র প্যারেন্টস লাউঞ্জ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক পে ইট ফরওয়ার্ড তারই সৃষ্টি।

'জন্মজয়' প্রথম প্রকাশ হয় ২০০৬ সালে।

এরপর আরও একবার মুদ্রণ হয়েছিল বইটি। বাদল সৈয়দ ‘জন্মজয়’ ছাড়াও আরও পাঁচটি বই লিখেছেন। সেগুলো হচ্ছে- স্বপ্নডানা, মাটির পিঞ্জিরার মাঝে, জলের উৎস, আলৌকিক আঙ্গুল, সাধুসঙ্গ।

বাদল সৈয়দ বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রম দেন একদল তরুণ। তারা এসব রোগীদের চিকিৎসfসহ যাবতীয় দায়িত্ব নেন। ইতোমধ্যে অনেকে এ কাজে সহযোগিতা করছেন। হাসপাতালে গড়ে উঠেছে অজ্ঞাত রোগী কর্নার। তাই নিজের ভেতর এসব অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে কাজ করার আগ্রহ জাগে।

‘এর আগে আমার যেসব বই বিক্রি হয়েছে, সে টাকাগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দিয়েছিলাম। এবার আমি বেশ আনন্দিত কারণ জন্মজয় বইটির টাকা অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণের জন্য ব্যয় হবে জেনে। ’

চমেক হাসপাতালে আসা অজ্ঞাত রোগীদের নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছেন সাইফুল ইসলাম নেছারসহ একাধিক তরুণ। ফেনীর ছাগলনাইয়ার এ তরুণ অজ্ঞাত রোগীদের বন্ধু হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন।

বাংলানিউজকে সাইফুল ইসলাম নেছার বলেন, বাদল সৈয়দ একজন মানবিক মানুষ। এর আগেও তিনি অজ্ঞাত রোগীদের সহযোগিতা করেছেন। এবার তিনি নিজের লেখা বই জন্মজয় বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয় হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের কল্যাণে ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।

‘সুস্থ হওয়ার পর অনেক রোগীর স্বজনের খোঁজ মেলে না। ফলে তাদের ঠিকানা হয় অলিগলি-রাস্তায়। সেবার অভাবে অনেকে পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ’

সাইফুল ইসলাম নেছার বলেন, এজন্য আশ্রয়হীন অজ্ঞাত রোগীদের জন্য একটি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এটার জন্য ফান্ড দরকার, তবে এ কাজটা জন্মজয় বইটি বিক্রির টাকা দিয়ে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।