ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

টেকপাড়া খাল দখলমুক্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৯
টেকপাড়া খাল দখলমুক্ত অভিযান চালিয়ে টেকপাড়া খালের প্রায় আড়াইশ মিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়

চট্টগ্রাম: নগরের টেকপাড়া খাল দখলমুক্ত হয়েছে। টানা দুইদিনের অভিযানে খালটির প্রায়  সাড়ে ৫০০ মিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) অভিযান চালিয়ে খালের প্রায় আড়াইশ মিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রায় ২২টি পাকা, সেমিপাকা ও কাঁচাঘরের অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

এর আগে বুধবার সকালে খালটিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। জলাবদ্ধতা নিরসনে ‘মেগা প্রকল্প’বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলম চৌধুরী এ অভিযান পরিচালনা করেন।

সিডিএ সূত্র জানায়, টেকপাড়া খাল খালটির দৈর্ঘ্য শূন্য দশমিক ৫৯ কিলোমিটার। বিএস খতিয়ান অনুযায়ী খালের শূন্য দশমিক ৪৩১ একর জায়গা বেদখল। খালটির ওপর অবৈধ স্থাপনা ৭৬টি।

সিডিএর প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক কাজি কাদের নেওয়াজ বাংলানিউজকে বলেন, টেকপাড়া খালের ওপর গড়ে উঠা প্রায় ২২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। খালটি পুরোপুরি দখলমুক্ত।

২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএর সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।

ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক, ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপ নানা অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।