ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম আঘাত মানবত্বকে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম আঘাত মানবত্বকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চর্মরোগ শীর্ষক সেমিনারে অতিথিরা

চট্টগ্রাম: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রথম প্রভাব পড়বে মানবত্বকে। ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে মানবজাতি। ইতোমধ্যে এর প্রভাব লক্ষ করা গেছে, আগের তুলনায় চর্মরোগী বেড়েছে। বিভিন্ন দেশে দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে বৃদ্ধি পাচ্ছে ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চর্মরোগ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ এ সেমিনার আয়োজন করে।

বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো দাবদাহ, পাহাড়ি এলাকায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উপকূল এলাকায় বন্যা। ইতোমধ্যে আমাদের দেশে সেসব প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।

এসবের কারণে মানুষের ত্বকের রোগ বাড়বে। এতে করে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি হবে।

চমেক হাসপাতাল চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ রফিকুল মাওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম রফিক আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে একেএম রফিক আহমেদ বলেন, আমরা পরিবেশ রক্ষা করতে শিখিনি। ছোটবেলা থেকে আমরা জীবজন্তু মেরে কিংবা পরিবেশ ধ্বংসে অভ্যস্ত। অথচ অনেকে জানে না, এসব পরিবেশের ক্ষতির কারণ।

‘আইন প্রয়োগ করে পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। এজন্য প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। অন্তত ভালোভাবে বাঁচার জন্য আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। ’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ডার্মাটোলজিক্যাল সোসাইটির সভাপতি একিএম সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগে আর্সেনিকের ঝুঁকিতে ছিলো নির্দিষ্ট কিছু এলাকা। এখন তা ছড়িয়েছে। খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ পাহাড়ি এলাকা আর্সেনিকের ঝুঁকিতে।

‘কোনো কিছুর করার আমরা পরিবেশ কেমন দেখি, ঠিক তেমনি বেঁচে থাকার জন্য ভালো পরিবেশ লাগবে। নয়তো মানবজাতি হুমকির মুখে পড়বে। মানুষ ছাড়া এ পৃথিবী মূল্যহীন। তাই পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। তাতেই জলবায়ু পরিবর্তন রুখা যাবে। ’

চমেক হাসপাতাল চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ রফিকুল মাওলা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রুখতে চিকিৎসকদের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে।

‘মনে করেন কোনো এলাকায় একই ধরনের রোগ বেশি দেখা দিচ্ছে। সেটি আগে বুঝতে পারবেন চিকিৎসকরা। বিষয়টি চিকিৎসকরা সংশ্লিষ্ট দফতরে জানালে কর্তৃপক্ষ উপযোগী পদক্ষেপ নিতে পারবে। ’

বক্তব্য দেন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. শাহ আলম, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান ডা. সাইফুল্লাহ খান, রাঙামাটি মেডিক্যাল কলেজ চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের প্রধান নিশীত রঞ্জন দে, চমেক হাসপাতাল চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. দেব প্রতিম বড়ুয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এসইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।