ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সবুজ মেলার উদ্বোধন করলেন মেয়র নাছির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
সবুজ মেলার উদ্বোধন করলেন মেয়র নাছির সবুজ মেলার উদ্বোধনের পর স্টল ঘুরে দেখেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: নগরের কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী সবুজ মেলা।

রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি স্টল পরিবেশন করেন।

মেয়র বলেন, নগরায়ন শুরুর সময় বুঝে না বুঝে বৃক্ষরাজি ধ্বংস করা হয়। প্রধানমন্ত্রী বৃক্ষরোপণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করায় ক্রমে গাছের সংখ্যা বাড়ছে।

সবুজ মেলায় থোকা থোকা ফল ঝুলছে চারা গাছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধরজলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বালুর ন্যাড়া পাহাড়ের পলিতে ড্রেন ভরে যায়। পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা হয়, সড়কে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়ে। পাহাড়ধসে প্রাণহানি ও সম্পদহানি ঘটছে। এর জন্য বৃক্ষরোপণ করতে হবে। সেই চারার যত্ন নিতে হবে। নিত্য ফলের চাহিদা পূরণে ছোট ছোট চারা রোপণ করা যায়।

নগরবাসীকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর, ছাদবাগান করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, এডিস মশার জন্য ছাদবাগান দায়ী নয়। যাতে তিন দিনের বেশি পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সবুজ মেলার আহ্বায়ক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন খালেদের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চবির অধ্যাপক ড. জেরিন আকতার, বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মাহবুবুর রহমান।

ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়নমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক ড. জেরিন আকতার বলেন, দেশের ২৫ ভাগ বনভূমি দরকার ভারসাম্য রক্ষার জন্য। একসময় সবুজ বৃক্ষরাজি ছিলো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় বৃক্ষরোপণ বেড়েছে। এখন দেশের প্রায় ১৯ ভাগ বনভূমি। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্বস্ত হাতিয়ার বনায়ন।

ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, সবুুজ মেলার উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের মধ্য বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করা। সরকারি বনভূমির পাশাপাশি সামাজিক বনায়ন, গ্রামীণ বনভূমি সৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ধস রোধে বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং দরকার। বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের শতাধিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি রয়েছে। বনভূমি রক্ষার পাশাপাশি জীবনমান উন্নয়নে টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে।

সবুজ মেলায় মিলছে দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাসও।  ছবি: উজ্জ্বল ধরতিনি বলেন, তালের চারা তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছি আমরা। নার্সারিতে খুব বেশি পাওয়া যায় না তালের চারা।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর গোলাম হায়দার মিন্টু, নাজমুল হক ডিউক, সাবের আহমদ, হাসান মুরাদ বিপ্লব, গিয়াস উদ্দিন, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের, মোহাম্মদ আজম, জোবাইরা নার্গিস খান, আবিদা আজাদ প্রমুখ।

শুরুতে কবিগান পরিবেশন করেন কবিয়াল কল্পতরু ভট্টাচার্য। স্বাগত বক্তব্য দেন চসিকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম।

সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য তিলোত্তমা চট্টগ্রামের সহযোগিতায় চসিক আয়োজিত এ মেলা উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকার ফলদ, বনজ, ওষুধি, ফুল ও পাতাবাহারের চারা, বনসাই পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।