ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিষেধাজ্ঞার খবরে কমছে না ইলিশের দাম

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
নিষেধাজ্ঞার খবরে কমছে না ইলিশের দাম ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: সাগরে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ২৪ জুলাই থেকে শুরু হয় ইলিশ ধরার উৎসব। একমাসে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশও ধরা পড়েছে। তবে বাজারে এই মাছের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রচুর ডিমওয়ালা ইলিশের সঙ্গে জাটকা ধরা পড়ছে। এ অবস্থায় আবারও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

নগরের ফইল্যাতলী, আনন্দবাজার ও কাট্টলী এলাকার জেলেরা ১ কেজির বেশি ওজনের প্রতিমণ ইলিশ আড়তদারদের কাছে বিক্রি করছেন ৩১-৩৩ হাজার টাকায়। আর ১ কেজির কম ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিমণ ২৭-২৯ হাজার টাকায়।

বাজারে কেজিপ্রতি বেড়ে যাচ্ছে ২৫০-৩শ টাকা।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: সোহেল সরওয়ারফিরিঙ্গী বাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদাররা ইলিশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের পর থেকে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ফিরিঙ্গী বাজারে আড়তে ১ কেজির বেশি ওজনের প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ থেকে ৩৮ হাজার টাকায়। ১ কেজির নিচে প্রতিমণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৩-৩৪ হাজার টাকায়।

কাট্টলী জেলে পাড়ার সাগর বহদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে প্রতি মণ ৩৪ হাজার টাকার মাছ ৩৭ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকার মাছ ৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে আড়তদাররা।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: সোহেল সরওয়ারনগরের চকবাজার, রেয়াজুদ্দিন বাজার, কর্ণফুলী মার্কেট, বহদ্দারহাট বাজার, কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ইলিশ ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি থেকে তারও বেশি ওজনের ইলিশ কোথাও ১ হাজার, আবার কোথাও ১৩শ-১৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নগরের হালিশহর, আনন্দবাজার, জেলেপাড়া ও  উপকূলীয় উপজেলা সীতাকুণ্ড, বাঁশখালী, আনোয়ারা, সন্দ্বীপ ও মিরসরাইয়ের ১০ হাজারের বেশি জেলে পরিবারের জীবন-জীবিকা সাগরে মাছ ধরা ও বেচাবিক্রির ওপর নির্ভর করে। মহাজন থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধে এসময়ে তারা রাত-দিন খাটেন। কিন্তু শ্রমের তুলনায় ন্যায্য পারিশ্রমিক মেলে না অনেকের।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: সোহেল সরওয়ারপাথরঘাটার হরলাল জলদাস জানান, গত ১০ বছরের তুলনায় এবার সবচেয়ে বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বোট মালিককে সংগ্রহ করা সব মাছ দেয়ার পর মাঝেমধ্যে মিলে দুয়েকটা জাটকা।

সোনালি মৎস্যযান সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকার জানান, চট্টগ্রামে ১০ হাজারের অধিক নৌকা ও বোট মাছ আহরণ করছে। মহানগরসহ ৫ উপজেলায় ২৫ হাজার নিবন্ধিত জেলে আছে। সব নৌযান এখন সাগরে মাছ ধরায় ব্যস্ত। কেউ মাছ ধরে আসছে, আবার কেউ যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।