অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্য ও রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ শাহেদ আলম।
দৃষ্টির চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দৃষ্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফ চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক শওকত বাঙালি, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিযোগিতা কমিটির আহ্বায়ক শামসুল তাবরিজ সনেট, দৃষ্টির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না ও প্রতিযোগিতা কমিটির সমন্বয়কারী ও দৃষ্টির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরফাত।
মেয়র বলেন, আগামী প্রজন্মের পথ প্রদর্শক হবে আজকের বিতার্কিকরাই, এরা সবাই যুক্তিবাদী এবং যুক্তির তীক্ষ্ণতাই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ির আশাপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে ডেঙ্গুর মতো রোগ থেকে নিজেকে যেমন দূরে রাখতে পারবে, একই ভাবে পরিবারকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে লোগো আহ্বানের জন্য দৃষ্টির সংগঠকদের নির্দেশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন।
সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, আগস্ট জাতীয় শোকের মাস, এ মাসেই আমরা শোককে শক্তিতে পরিণত করার চেষ্টা করবো। আর এর অন্যতম মাধ্যম হতে পারে বিতর্ক।
তিনি বলেন, হারতে না জানলে জেতা যায় না। অংশগ্রহণকারী সবাই জিতবে এমনটাও না। তাই হারলে ভেঙে না পড়ে জেতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণই আমাদের স্বাধীনতার দ্বার খুলে দিয়েছে, আমাদের দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশ। আর এ স্বাধীন দেশের পতাকার মর্যাদা বহন করতে হবে আগামী প্রজন্মকে।
রবি’র মোহাম্মদ শাহেদ আলম বলেন, বই হারাবে না, পত্রিকাও হারাবে না শুধু মাধ্যমগুলো পরিবর্তন হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন বুক ও অনলাইন পত্রিকাগুলো। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু নেতিবাচক দিক রয়েছে তবুও সেগুলো ছাপিয়ে গিয়ে ইতিবাচক দিকগুলোই আমাদের নেওয়া উচিত।
নিতাই কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আগের দিনে তথ্য বিনোদন ও শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম ছিল বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন। বর্তমানে অনেক মাধ্যমের প্রসার ঘটেছে তাই প্রতিযোগিতাও অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র তাদের কর্মসময় বাড়িয়ে এবং অনুষ্ঠানের মানোন্নয়ন করে দর্শকের চাহিদা পূরণে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার ৪৮টি বিদ্যালয় নিয়ে আগামী মাস থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা। যা সম্প্রচার হবে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে।
মাসুদ বকুল বলেন, আমরা চট্টগ্রামকে নিয়ে যদি কিছু করি সেটা হবে বাংলাদেশের অর্জন। চট্টগ্রামে যেভাবে বিলবোর্ড মুক্ত করা হলো, দেশের সব শহর যদি এটা অনুসরণ করে তাহলে আমরা সুন্দর বাংলাদেশ পাব।
এবার স্কুল বিতর্কের ২৭তম এ আয়োজনে চট্টগ্রামের ৩৬টি স্কুল, ১৬তম বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে সারা দেশের ৩২ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৭তম কলেজ বিতর্কে সারা দেশের ১৬ কলেজ অংশ নেবে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এআর/টিসি