ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাইনিং ও ফিশ হারবার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
মাইনিং ও ফিশ হারবার পোর্ট নির্মাণের পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সঙ্গে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের কর্মকর্তারা

চট্টগ্রাম: দেশের বিশাল সমুদ্র সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ(চবক) মাইনিং পোর্ট ও ফিশ হারবার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুলফিকার আজিজ।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে বন্দর ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বন্দর চেয়ারম্যান এ পরিকল্পনার কথা জানান।

তিনি বলেন, সরকার ব্লু-ইকোনমির ওপর গুরুত্বারোপ করায় শিগগির সমুদ্র সম্পদ আহরণের পথ সুগম হবে।

সমুদ্রের গভীরে থাকা মূল্যবান মিনারেল মিশ্রিত মাটি-বালু উপকূলের নির্দিষ্ট স্থানে তুলে সেমি প্রসেসের জন্য মাইনিং পোর্ট প্রয়োজন। যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে।
একইভাবে মূল্যবান টুনা ফিশসহ অন্যান্য মাছের জন্য ফিশ হারবার পোর্ট দরকার। হারবারে প্রক্রিয়াজাত কারখানা এসব মাছ সরাসরি বিদেশে রফতানি করা যাবে।

সভায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহ্উদ্দিন মো. রেজা, সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, কার্যকরী সদস্য স ম ইব্রাহীম, কাজী আবুল মনসুর এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (ফিন্যান্স) কামরুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, চবক ভবিষ্যতের জন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অ্যালবাম তৈরির কাজ হাতে নিয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্দরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা হবে। আগামী ২০-৩০ বছরের পরিকল্পনা এতে থাকবে। এ জন্য চবক নতুন জমি কেনার প্রতিও মনোনিবেশ করেছে। ইতোমধ্যে বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য জমি নেওয়া হয়েছে। মিরসরাই এলাকায় জমি কেনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনায় জমির যেন কোনো সংকট না হয় সেদিক লক্ষ রাখা হচ্ছে।

চবক চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ইক্যুইপমেন্ট সংযোজনসহ অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬ ধাপ এগিয়ে এসেছে। গত বছর যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৭০। এ বছর তা ৬৪ তে উন্নীত হয়েছে। ২০২২ সালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের শীর্ষ বন্দরের তালিকার ৫০-এর মধ্যে পৌঁছাবে। কারণ বন্দরের ইয়ার্ড ও টার্মিনাল সম্প্রসারণের ফলে হ্যান্ডলিং ক্ষমতা ৩১ লাখে উন্নীত হবে। এ বছর কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ছিল ২৯ লাখ ৩ হাজার।

তিনি বলেন, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, ওভার ফ্লো-ইয়ার্ড নির্মাণ কাজ আগামী ২ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হলে হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়বে। বন্দরে আসা জাহাজ ৭২ ঘণ্টার স্থলে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ সম্পন্ন করতে পারবে।

বন্দর সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় বে-টার্মিনাল ফোকাল পয়েন্ট হবে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, বে-টার্মিনালে ডেলিভারি ও ট্রাক টার্মিনাল নির্মিত হবে। যা আগামী দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আগামী ২-৩ বছর চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ক্রিটিক্যাল সময়। কারণ এ সময়ের মধ্যে বন্দরের ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিনের মতো কয়েক হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ঢুকবে না। সব কনটেইনার জাহাজ থেকে বে-টার্মিনালের ডেলিভারি ইয়ার্ডে চলে যাবে। সেখান থেকে ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান পণ্য নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যাবে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো ট্রাক ঢুকতে হবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।