বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মৌলিক অধিকার সুরক্ষার স্বার্থে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দে বলেন, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব সারাদেশে ধর্মীয় মর্যাদায় উদযাপন করা হবে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় জে.এম সেন হল প্রাঙ্গণ থেকে মহাশোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রামস্থ সহকারি ভারতীয় হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী, অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান, রাজনীতিবিদ মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, মফিজুর রহমান সহ আমন্ত্রিত অতিথি ও দেশ-বিদেশ থেকে আগত মহারাজ। দুপুর ১২টায় মাতৃসম্মেলন উদ্বোধন করবেন রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী শক্তিনাথানন্দ মহারাজ, বিকাল ৩টায় ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৫টায় সনাতন ধর্মসম্মেলনে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বলন করবেন ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সুদর্শনানন্দ পুরী মহারাজ। উদ্বোধক থাকবেন কৈবল্যধামের মোহন্ত শ্রীমৎ অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়। অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম। রাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পূজা ও ষোড়শপ্রহর নাম সংকীর্তনের শুভ অধিবাস, ২৪ আগস্ট ভোর হতে মহানাম সংকীর্তন শুরু এবং ২৬ আগস্ট ব্রাহ্মমুহুর্তে নাম সংকীর্তনের সমাপন। প্রতিদিন দুপুর ও রাতে বিতরণ করা হবে মহাপ্রসাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো: মঠ-মন্দির-ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শাস্তির ব্যবস্থা করা, সারাদেশে বেদখল হওয়া মঠ-মন্দির ও দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার এবং তা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজায় চারদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে পরিণত করা, হামলায় বিধ্বস্ত মঠ-মন্দির-ঘরবাড়ি সরকারি উদ্যোগে রামুর বৌদ্ধ বিহারের ন্যায় দ্রুত পুনঃনির্মাণ করা, অর্পিত সম্পত্তি সংশোধনী আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন জনগণকে হয়রানি থেকে মুক্তি দেয়া, এরশাদ সরকারের আমলে সৃষ্ট বাংলা নববর্ষের তারিখ বিভ্রাটের অবসান, প্রতিটি জেলায় শ্রীকৃষ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠায় সরকারি জায়গা বরাদ্দ দেয়া ও শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উৎসবে সরকারি ভোগ্যপণ্য বরাদ্দের ব্যবস্থা করা।
বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রাক্তন সভাপতি ও রাউজান পৌরসভার মেয়র দেবাশীষ পালিত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, কার্যকরী সভাপতি ডা. মনোতোষ ধর, সহ-সভাপতি সাধন ধর, সহ-সভাপতি ও মহাশোভাযাত্রা উপ-পরিষদের আহ্বায়ক অলক দাশ, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, পরেশ চন্দ্র চৌধুরী, মহাশোভাযাত্রা উপ-পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক লায়ন তপন কান্তি দাশ, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, সাধন চৌধুরী, জাতীয় জন্মাষ্টমী উৎসব পরিষদের আহ্বায়ক বাবুল ঘোষ বাবুন, সদস্য সচিব রত্নাকর দাশ টুনু, রতন আচার্য্য, শিবু প্রসাদ দত্ত, ‘মাসিক জ্যোতির্ময়’ প্রকাশক এস প্রকাশ পাল, প্রকৌশলী সুভাষ গুহ, রুমকী সেনগুপ্ত, ডা. বিধান মিত্র, ঊষা আচার্য্য প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এসি/টিসি