প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হারে এবং ডোর-টু-ডোর কর্মচারীরাও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মতো একই হারে বেতন পাবে। চসিকে ৬ হাজার ৩১০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দৈনিক ও নির্ধারিত বেতনে কর্মরত আছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে চসিকের পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের ৪৯তম সাধারণ সভায় দ্বিতীয় ধাপে বেতন বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মেয়রের সভাপতিত্বে সভায় প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফয়েজুল্লাহ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দীন আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন-উর-রশিদ হাজারী, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ নগরের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী।
মেয়র বলেন, নগরে ১ লাখ ৮৫ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এর বিপরীতে কাঙ্ক্ষিত ট্যাক্স পাওয়া যাচ্ছে না। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নগর পরিষেবা সচল রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চসিককে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৫টি কনজারভেন্সি ওয়ার্ড আর ১৬টি নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড রয়েছে। কনজারভেন্সি ওয়ার্ড থেকে ১৭ শতাংশ এবং নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ড থেকে ১৪ শতাংশ হারে কর ও রেইট আদায় করা হয়। তবে নন-কনজারভেন্সি ওয়ার্ডেও কনজারভেন্সি ওয়ার্ডের সমান সেবা দিয়ে আসছে চসিক। মাত্র ১টি ওয়ার্ড দক্ষিণ পাহাড়তলীতে পরিচ্ছন্ন সেবা পরিপূর্ণ ভাবে দেওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ গেজেট আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ অনুযায়ী ২৭ শতাংশ কর ও রেইট আদায়ের বিধান রয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, হোল্ডিং কর ৭ শতাংশ, পরিচ্ছন্ন ৭ শতাংশ, আলোকায়ন ৫ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৮ শতাংশ নির্ধারিত থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আগের মতো কর ও রেইট আদায় করছে। কর ও রেইট আদায়ে সরকারি নিদের্শনার পরেও চসিক কোনো কর ও রেইট এখনো পর্যন্ত বাড়ায়নি। নিয়মিত যেসব স্থাপনা বাড়ছে তা-ও আমাদের হিসাবের বাইরে। এগুলো হোল্ডিংয়ের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে আয় বাড়বে না।
তিনি হোল্ডিং ট্যাক্স বিষয়ে নগরবাসীকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানান।
মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়ে মেয়র বলেন, আশঙ্কাজনক হারে মাদকের ব্যবহার বেড়েছে। নগরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইয়াবাসহ নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য। ফলে সমাজ ও পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বেড়েছে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ। বর্তমানে কিশোর-কিশোরী, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা বিপথগামী হচ্ছে। এমনকি আজকাল মেয়েরাও মাদকসেবন করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা সবাই। এ অবস্থা চলতে থাকলে জাতি মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। দেশের অগ্রযাত্রায় স্থবিরতা নেমে আসবে। তাই মাদকের বিরুদ্ধে ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
তিনি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকের তালিকা সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনারের হাতে পৌঁছানোর কথা বলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এআর/টিসি