ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মামলার সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার তাগিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
মামলার সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার তাগিদ বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান

চট্টগ্রাম: বিচারকাজে সহযোগিতা করতে আসা মামলার সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব পাবলিক প্রসিকিউটরকে (পিপি) নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত বিভাগীয় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন।

সভায় জানানো হয়, জুলাই মাস পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪১ হাজার ৪২৮টি।

মামলা জটের পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ বিচারক শূন্যতা এবং মামলা পরিচালনায় ধীরগতি। মামলার সাক্ষীরা যথাসময়ে সাক্ষী দিতে না আসায় বিচারকাজে ধীরগতি বাড়ছে।

এর প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে বাদী-বিবাদীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কাউকে হয়রানি বা বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত না করে মামলা দ্রুত নিস্পত্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিচারক নিয়োগ এবং সাক্ষীদের যাতায়াত ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।

মো. আবদুল মান্নান বলেন, বিভিন্ন ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের সকল অভিযান সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তবে আত্মতুষ্টিতে না ভুগে অভিযান জোরদার করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি তৎপর হতে হবে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুরো চট্টগ্রাম বিভাগে একযোগে ক্রাশ প্রোগ্রাম করে সাড়া পাওয়া গেছে। এরপরেও যাদের বাসা-বাড়ির আঙিনা বা ছাদে বোতল কিংবা অন্যত্র পানি জমে আছে, দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

‘এডিস মশা বংশ বিস্তার করার মতো উপাদান কোথাও পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে। ’

তিনি বলেন, পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে সড়ক ও নৌ পথ দিয়ে মাদক পাচার করছে। মাদকের বিরুদ্ধে আরও বেশি নজরদারী বাড়াতে হবে। সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ, অবৈধ অস্ত্র এবং রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে জিরো টলারেন্স থাকবে প্রশাসনের।

‘কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনীর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে তেল পাচার রোধে সড়ক পথের পাশাপাশি নৌপথে বিজিবি-কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল আরও জোরদার করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমাদের সবার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। ’

সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, বিভাগীয় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা, জেলা প্রশাসক সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইনামুল হাসান, মো. মোজাম্মেল হক ও মো. মামুন।

সভায় বক্তব্য দেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, স্থানীয় সরকারের বিভাগীয় পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক মো. সামছুল আলম, বিজিবি চট্টগ্রাম  ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্ণেল মো. মুনির হাসান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।