রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের ওসমান কোর্ট ভবনে জাপানের কনস্যুলেট অফিসে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া জাপান এখনো এদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।
এবার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাপানের উন্নয়ন ও অত্যাধুনিক কারিগরি উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নবীন উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠিত টিম নিয়মিত জাপানে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এওটিএস। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তারা এ সুযোগ নিতে পারে। এ টিমের উদ্দেশ্য হলো ‘দ্য স্প্রিট অব জাপান’ দেখা, জানা ও শেখা। তারা দেখবে, কীভাবে জাপানিরা এখনো কঠোর পরিশ্রম করে এবং সময়জ্ঞান ও ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে নিজেকে, দেশকে ও জাতিকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। কীভাবে তারা অত্যাধুনিক কারিগরি, প্রযুক্তিগত, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও কম্পিউটার সফটওয়্যার আপডেট ভার্সনগুলো দ্রুত আয়ত্ত করে কাজে লাগায় । ২০-৩০ সদস্যের টিমে থাকবে তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্যাংক, বিমা, স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। এ শিক্ষা সফরের মাধ্যমে দু-দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হয়ে নলেজ শেয়ার বাড়বে এবং যৌথ ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরিহবে।
মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, জাপান চায় বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে একটা উন্নয়ন বলয় তৈরি করা, যার সমান সুফল পাবে বাংলাদেশ ও ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা। এটাকে আমরা বলতে পারি ‘দ্য বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়াঙ্গেল’। তবে জাপানের বেশি আগ্রহ সমুদ্র উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার, যেখানে ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়েছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হওয়ার এখনই সময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি