ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হাইটেক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণের জন্য জাপানের দরজা খোলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
হাইটেক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণের জন্য জাপানের দরজা খোলা বক্তব্য দেন জাপানের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম: হাইটেক প্রযুক্তি ও উন্নত কারিগরি প্রশিক্ষণে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানের দরজা এখনো খোলা বলে জানিয়েছেন জাপানের অনারারি কনসাল জেনারেল মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদের ওসমান কোর্ট ভবনে জাপানের কনস্যুলেট অফিসে তিনি একথা জানান।

তিনি বলেন, পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া জাপান এখনো এদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।

চট্টগ্রাম থেকে এপর্যন্ত  অ্যাসোসিয়েশন ফর ওভারসিজ টেকনিক্যাল কো-অপারেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল পার্টনারশিপের (এওটিএস) মাধ্যমে টেকনিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিষয়ে জাপানে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি প্রশিক্ষণ নিয়েছে। আশির দশক থেকে সংগঠনটি কাজ করছে।

এবার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জাপানের উন্নয়ন ও অত্যাধুনিক কারিগরি উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ থেকে নবীন উদ্যোক্তাদের নিয়ে গঠিত টিম নিয়মিত জাপানে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে এওটিএস। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান তথা বৃহত্তর চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তারা এ সুযোগ নিতে পারে। এ টিমের উদ্দেশ্য হলো ‘দ্য স্প্রিট অব জাপান’ দেখা, জানা ও শেখা। তারা দেখবে, কীভাবে জাপানিরা এখনো কঠোর পরিশ্রম করে এবং সময়জ্ঞান ও ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে নিজেকে, দেশকে ও জাতিকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যায়। কীভাবে তারা অত্যাধুনিক কারিগরি, প্রযুক্তিগত, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ও কম্পিউটার সফটওয়্যার আপডেট ভার্সনগুলো দ্রুত আয়ত্ত করে কাজে লাগায় । ২০-৩০ সদস্যের টিমে থাকবে তরুণ ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্যাংক, বিমা,  স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। এ শিক্ষা সফরের মাধ্যমে দু-দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও মজবুত হয়ে নলেজ শেয়ার বাড়বে এবং যৌথ ব্যবসা ও শিল্প উদ্যোগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরিহবে।

মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, জাপান চায় বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী দেশগুলোকে নিয়ে একটা উন্নয়ন বলয় তৈরি করা, যার সমান সুফল পাবে বাংলাদেশ ও ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা। এটাকে আমরা বলতে পারি ‘দ্য বে অব বেঙ্গল গ্রোথ ট্রায়াঙ্গেল’। তবে জাপানের বেশি আগ্রহ সমুদ্র উপকূলীয় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার, যেখানে ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়েছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত হওয়ার এখনই সময়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।