ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে রুপালি ইলিশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ছে রুপালি ইলিশ ফিশারি ঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: গভীর সাগরে জেলেরা জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তাই হাসিমুখে উপকূলে আসছেন তারা। মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর গত ২৪ জুলাই থেকে জালে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় জেলে-ফিশিং ট্রলার মালিক ও মৎস্য আড়তদারদের মুখে হাসি ফুটেছে।

চট্টগ্রামের জেলে পল্লীগুলোতে এখন আনন্দের বন্যা। নগরের ফিশারি ঘাটে দেখা গেছে, ইলিশভর্তি নৌকা নিয়ে সাগর থেকে ফিরছে জেলেরা।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: বাংলানিউজছোট-বড় সব আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে ঘাটে।

তবে বাজারে দাম তেমন কমছে না। এক কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার-১২শ’ টাকায়। সাগরে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে।

মৎস্য বিভাগ বলছে, বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে ইলিশের গতিপথ। পুরো মৌসুম জুড়ে এবার ইলিশের সরবরাহ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার সুফল পেতে শুরু করেছেন জেলেরা।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: বাংলানিউজফিশারিঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারাও। গেল বছরের তুলনায় এবার আরও লাভবান হওয়া যাবে।  

ট্রলার থেকে নামিয়ে ঠেলাগাড়ি বা ভ্যানে এসব ইলিশ আনা হয় ফিশারি ঘাটে। মানভেদে প্রতি কেজি ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ থেকে ছয়শ টাকা পর্যন্ত। সামনে ইলিশের দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন আড়তদাররা।  

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: বাংলানিউজজেলেরা জানান, এটি ইলিশের ভরা মৌসুম। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলে যেসব ইলিশ ধরা পড়ছে সেগুলো আকারে ছোট হলেও পদ্মার ইলিশ আকারে একটু বড়। ফিশারিঘাট থেকে এসব ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।

দেশে গত দশ বছরে অনেক বেড়েছে জাতীয় মাছ ইলিশের উৎপাদন। ১৭টি ইলিশ প্রধান জেলায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীতে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এবং মার্চ-এপ্রিলে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে।

ফিশারিঘাট থেকে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।  ছবি: বাংলানিউজমৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ পর্যবেক্ষণ সেলের হিসেবে, ১৫ বছর আগে দেশের ২৪টি উপজেলার নদীতে ইলিশের বিচরণ ছিল। এখন দেশের অন্তত ১২৫টি উপজেলার নদীতে ইলিশ বিচরণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তবে জলবায়ু পরিবর্তন, নদীতে সৃষ্ট বহু চর ও ডুবোচর এবং পদ্মা ও মেঘনার নাব্যতা হ্রাস পাওয়ার কারণে সমুদ্র থেকে ইলিশ মিঠা পানিতে আসতে বাধা পাচ্ছে। এতে ইলিশের গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৯
এসএস/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।