ওই পথে রিকশায় বাজারে যাচ্ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল (৩৭৯৬) মো. শামসুল আলম। জটলা দেখে দ্রুত নেমে এলেন আকবর শাহ থানাধীন ফয়’স লেক তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্বরত এ পুলিশ সদস্য।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১০টা ৫ মিনিটের দিকের ঘটনা এটি।
মো. শামসুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমার প্রাণান্ত চেষ্টা ছিলো যে করেই হোক মানুষটির প্রাণ বাঁচানো। চমেকে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসক জানান রোগীর শরীরের ৭০ ভাগ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠাতে হবে।
ঝলসে যাওয়া লোকটির নাম মো. মানিক মিয়া (২৯)। তিনি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার পশ্চিম সাবরহাটি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। ফয়’স লেকের একটি ক্যাফেতে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন।
মো. শামসুল আলম জানান, মানিক মিয়া জানিয়েছেন-সকালে ক্যাফের পেছনের দরজা দিয়ে রান্নাঘরে ঢুকে ম্যাচের কাঠি জ্বালাতেই ধপ করে আগুন ধরে যায়। হয়তো গ্যাস লিক হয়ে ঘর ভরে গিয়েছিলো।
আবেগাপ্লুত কণ্ঠে এ পুলিশ সদস্য বলেন, প্রাথমিক ওষুধপত্র বাবদ বাজারের জন্য নিয়ে যাওয়া সাড়ে ৪ হাজার টাকা খরচ করেছি। এরপর তার পরিবারের কাছে, ক্যাফের মালিকের কাছে খবর দিই। তারা উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করছেন।
গত ১৬ জানুয়ারিও নগরের জিইসি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হাত থেকে এক স্কুলছাত্রকে বাঁচিয়েছিলেন মো. শামসুর আলম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এআর/টিসি