চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বাংলানিউজকে বলেন, চসিকের ২৭৩টি গাড়ি ও নিজস্ব ৪ হাজার সেবক সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে। ভোরের বৃষ্টিতেও লাভ হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু সবাই একই সময়ে কোরবানি দেয় না, সেহেতু বুধবারও (১৪ আগস্ট) বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে।
এবার শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে বিভাগীয় সেল খোলা হয়। কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত সেলের অধীনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করছে পরিচ্ছন্ন বিভাগ। নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে চারটি সেলে ভাগ করে ৪ জন কাউন্সিলরকে সেল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে আলমাস সিনেমা হলের মোড় থেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে লাভ লেইন মোড় এলাকা, নিউমার্কেট, সদরঘাট, মাদারবাড়ি এলাকায় চলমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম ঘুরে দেখেন মেয়র। এসময় তিনি সড়কের ডাস্টবিনগুলোতে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে নিয়োজিতদের দিকনির্দেশনা দেন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এই ঈদে পরিবার পরিজনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শতভাগ আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করায় তাদের ধন্যবাদও দেন মেয়র।
এ প্রসঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণে যে সময় বেঁধে দিয়েছিলাম- ওই সময়ের মধ্যেই পরিচ্ছন্ন কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে তা সফল করেছে। এই কাজের জন্য আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছিলাম। সিটি করপোরেশনের নিয়োজিত পুরো টিম এই চ্যালেঞ্জ সার্থক করেছে।
মেয়র আরও বলেন, এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করার জন্য নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ঔষধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারাবছর এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান থাকবে। সিটি করপোরেশনের নিজস্ব হেলথ সেন্টারে ফ্রি ডেঙ্গুর চিকিৎসা এবং পরীক্ষা চলমান রয়েছে। আমি চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে যে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটির স্বপ্ন দেখছি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এসি/টিসি