ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোরবানির পশুর বর্জ্য হবে ৭ হাজার টন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
কোরবানির পশুর বর্জ্য হবে ৭ হাজার টন নগরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু।

চট্টগ্রাম: কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য বা সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিশেষ পদ্ধতিতে কোনো বস্তু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করা। বিশ্বের মুসলিমরা ১০ জিলহজ আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের প্রত্যাশায় পশু কোরবানি করে থাকেন। তবে ১১ ও ১২ জিলহজও কোরবানি করার বিধান রয়েছে।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে ঈদের নামাজ আদায় শেষে নগরে পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এবারও নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাইয়ের নির্দেশনা আছে মন্ত্রণালয়ের।

এর প্রেক্ষিতে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরে ৩৪১টি স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে চসিক। এরপরও শহরে রাস্তার পাশে পশু জবাই করতে দেখা গেছে।
নগরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু।  ছবি: উজ্জ্বল ধরনগরে এক লাখ ৮০ হাজার গরু ও ৫০ হাজার ছাগল জবাই হতে পারে। এতে কোরবানির জবাইকৃত পশুর বর্জ্য হবে ৬-৭ হাজার টন।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত সেলের অধীনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে পরিচ্ছন্ন বিভাগ। নগরের ৪১ ওয়ার্ডকে চারটি সেলে ভাগ করে ৪ জন কাউন্সিলরকে সেল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নগরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু।  ছবি: উজ্জ্বল ধরতিনি বলেন, বিকাল ৫টার মধ্যে সড়ক থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আর অলি-গলি থেকে রাত ৮টার মধ্যেই বর্জ্য সরানো হবে। যেহেতু সবাই একই সময়ে কোরবানি দেয় না, সেহেতু টানা তিনদিন বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জানান, চট্টগ্রামে কোরবানি হতে পারে ৭ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭টি পশু। তবে বেসরকারি হিসাব বলছে, এই সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।

নগরে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ শুরু।  ছবি: উজ্জ্বল ধরচট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য চার হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ শুরু করেছে। বর্জ্য পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে ৩০০টি গাড়ি।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে এবার সাড়ে ৫ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা। চামড়া সংগ্রহের জন্য আতুরার ডিপো থেকে হামজারবাগ এলাকার অস্থায়ী আড়তগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া নগরের কালুরঘাট, সিইপিজেড, আগ্রাবাদ, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা চামড়া সংগ্রহের জন্য আড়ত তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।