পাশাপাশি ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নিয়েও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। রোববার (১১ আগস্ট) ছুটির দিন শুরু হলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে বসে তিনি এসব কাজের দেখভাল করেছেন।
রোববার বিকেলে করপোরেশন কার্যালয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে মেয়র বলেন, এবারও শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করতে বিভাগীয় সেল খোলা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত সেলের অধীনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করবে পরিচ্ছন্ন বিভাগ।
প্রধান সড়কে পশু জবাই না করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তদারকি করা হবে। ঈদের দিনসহ পরবর্তী দুইদিন পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে এই সেল। মাঠে থাকবে পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্ন কর্মী। করপোরেশনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নগরবাসীর সহায়তা প্রয়োজন। আশা করছি, এবারও আমরা সফল হবো।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিগত বছরগুলোতেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সফলতা ছিল। এ বছরও বিকাল ৫টার মধ্যে সড়ক থেকে শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হবে। আর অলি-গলি থেকে রাত ৮টার মধ্যেই বর্জ্য সরানো হবে। যেহেতু সবাই একই সময়ে কোরবানি দেয় না, সেহেতু টানা তিনদিন বর্জ্য অপসারণের কাজ চলবে।
চসিক সূত্র জানিয়েছে, নগরের কোথাও পশুর বর্জ্য কোরবানির দিন রাত ১০টার পরও পড়ে থাকতে দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোলরুমে ০৩১-৬৩০৭৩৯, ০৩১-৬৩৩৬৪৯ অথবা ০১৭১২-২৫২৬১৫, ০১৬৭৫-২১৮৪৮৫ নম্বরে জানানো যাবে।
ঈদ জামাতের প্রস্তুতি সম্পর্কে মেয়র বলেন, চসিকের ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল ৭টা ৪৫মিনিটে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ৪৫মিনিটে। এছাড়াও সিটি করপোরেশন পরিচালিত মসজিদ, বাকলিয়া সিটি করপোরেশন স্টেডিয়াম, লালদিঘী সিটি করপোরেশন জামে মসজিদসহ নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের ১৬৫টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে ঈদ জামাতে বৈরী আবহাওয়া, বৃষ্টিপাতের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্যান্ডেলের ফ্যান, আলো-বাতি, নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা, প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথ, নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয়গুলো তদারকি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
টিসি