শুক্রবার (৯ আগস্ট) বোর্ড সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
ওয়াসা চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, বোর্ডে অনুমোদনের পর প্রস্তাবটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওয়াসা সূত্র জানায়, ইরিনকো এসডিএন বিএইচডি নামে মালয়েশিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান পরামর্শক হিসেবে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজের জন্য ২১টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র ক্রয় করে। প্রকল্পের প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সেখান থেকে ৭টি প্রতিষ্ঠানকে শর্টলিস্টভুক্ত করে। এসব প্রতিষ্ঠানকে আরএফপি প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ৬টি প্রতিষ্ঠানের আরএফপি প্রস্তাব জমা পড়ে।
তিনি আরও বলেন, পিইসি ৫ দফা বৈঠক করে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে মূল্যায়ন করে। পরবর্তীতে নূন্যতম ৭৫ পয়েন্ট প্রাপ্ত ৪টি প্রতিষ্ঠানকে বাছাই করা হয়। এরপর এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ আর্থিক প্রস্তাব চাওয়া হয়। প্রস্তাব জমা দেওয়ার পর ইরিনকো এসডিএন বিএইচডিকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ দিতে প্রকল্পের প্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে।
বন্দরনগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা আধুনিক করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্পটি (প্রথম পর্যায়) গ্রহণ করে ওয়াসা। ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসা এতে অর্থায়ন করছে। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ১০ কোটি লিটার পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি একটি পয়ঃশোধনাগার, দৈনিক ৩০০ ঘনমিটার পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ফিকেল স্ল্যাজ শোধনাগার, প্রায় ২০০ কিলোমিটার পয়ঃলাইন, ১২টি পয়ঃ পাম্পস্টেশন, ১৪৪ কিলোমিটার সার্ভিস লাইন, প্রায় ৭২ হাজার বাড়ির সংযোগসহ একাধিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় নগরের উত্তর হালিশহর, পাহাড়তলী, লালখান বাজার, কোতোয়ালি, সদরঘাট, দক্ষিণ আগ্রাবাদসহ একাধিক এলাকায় পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। এর সুফল ভোগ করবেন প্রায় ২০ লাখ নগরবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
এসইউ/টিসি