ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ১৫ লাখ মানুষ বাড়ছে, মেট্রোরেলের বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
চট্টগ্রামে ১৫ লাখ মানুষ বাড়ছে, মেট্রোরেলের বিকল্প নেই বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

চট্টগ্রাম: মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, আনোয়ারায় দেশি-বিদেশি ইকোনমিক জোন চালু হলে নগরে ১৫ লাখ মানুষ বাড়বে। এক্ষেত্রে এমআরটি বা মেট্রোরেলের বিকল্প নেই। সিডিএর নতুন মাস্টারপ্ল্যানে এমআরটির জায়গা চিহ্নিত করতে হবে।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে চসিকের সম্মেলন কক্ষে সিডিএর এক্সপ্রেসওয়ে ও চসিকের এমআরটি সম্পর্কিত সমন্বয় সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নগরবাসীর স্বার্থে টেকসই উন্নয়ন চাই আমরা।

এমআরটি বা মেট্রোরেল অপরিহার্য। বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সিডিএ নতুন মাস্টারপ্ল্যানে এমআরটি করিডোর রাখবে। এ মুহূর্তে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে বাধা নেই।

মেয়র দুই সংস্থার প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, নগরের যেকোনো প্রকল্প টেকসই করতে হবে। যাদের জন্য উন্নয়নকাজ তাদের সুফল নিশ্চিত করতে হবে। নগরের আয়তন সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে না বাড়ায় গণপরিবহনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

গণপরিবহনের চাপ নগরে ক্রমান্বয়ে বাড়বে। মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর হচ্ছে, আনোয়ারায় ইকোনমিক জোন হচ্ছে। এগুলো পুরোদমে উৎপাদনে গেলে ১৫ লাখ মানুষ নগরে যুক্ত হবে। তাই গণপরিবহনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। চসিক এমআরটি বা মেট্রোরেল পরিকল্পনা করছে। সরকার এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। এমআরটি রাখতেই হবে। বলেন মেয়র।

সিডিএর প্রকল্প পরিচালক মাহফুজুর রহমান জানান, টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে। টাইগারপাসে চসিকের বিন্যাঘাস প্রকল্পের পাশে বাঘের স্থাপনার আগে ল্যান্ডিং থাকবে। এক্সপ্রেসওয়েতে উঠবে টাইগারপাস দিয়ে। মাঝখানে ২ মিটার গ্যাপ থাকবে। দেওয়ানহাট ওভারপাসের ওপর দিয়ে যাবে এক্সপ্রেসওয়ে। এরপর চার লেনের এক্সপ্রেসওয়েতে মিলিত হবে।

তিনি জানান, বারিক বিল্ডিং থেকে সল্টগোলা পর্যন্ত মূল সড়কের ওপর এক্সপ্রেসওয়ে হবে না। সড়কের উত্তরপাশে ৩০ ফুট জায়গা নেওয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস, বন্দর জায়গা ছাড়তে সম্মত হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করা হবে।

মাহফুজুর রহমান বলেন, কমার্স কলেজ দিয়ে রেম্প উঠবে। জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘরের সামনে এক্সপ্রেসওয়ের যানবাহন নামবে। নিমতলায় রেম্প নামবে। বারিক বিল্ডিংয়ে রেম্প থাকবে না। ১২-২৫ মিটার উঁচু হবে এক্সপ্রেসওয়ে। সল্টগোলা ব্রিজের ওপর দিয়ে যাবে এক্সপ্রেসওয়ে। সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এক্সপ্রেসওয়েটি করা হবে।

তিনি বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে খেজুরতলায় আড়াইশ' মিটার ড্রেন নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। মেয়রের নেতৃত্বে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আহ্বান জানান সিডিএর প্রকল্প পরিচালক।

তিনি চসিক চিঠি দিয়ে অনুরোধ জানালে এমারটির প্রস্তাবিত এলাকায় সিডিএ ভবন অনুমোদনে বিশেষ পরিকল্পনা নেবে বলে জানান। এমআরটির জন্য সিডিএর পক্ষ থেকে অ্যালাইনমেন্ট নিয়ন্ত্রণ করা হবে হবে বলেও জানান।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, সিডিএর এক্সপ্রেসওয়ের ডিজাইনার নূর সাদেক প্রমুখ মতামত দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, ০৩ আগস্ট, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।