ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাহাজে এলো রেলওয়ের ২৬টি নতুন কোচ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
জাহাজে এলো রেলওয়ের ২৬টি নতুন কোচ ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে এলো রেলওয়ের ২৬টি নতুন কোচ

চট্টগ্রাম: ইন্দোনেশিয়া থেকে পানামা পতাকাবাহী ‘এমভি হোসি ক্রাউন’ জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে ২৬টি নতুন কোচ। এর মধ্যে রয়েছে মিটারগেজের ৫৫ আসনের ৫টি এসি চেয়ার কোচ, ৬৬ আসনের ১৬টি শোভন চেয়ার কোচ, ১৭ বার্থে ৩৪ আসনের ২টি এসি স্লিপার কোচ, ১টি পাওয়ার কার ও ২টি ডাইনিং কার।

বন্দরে খালাসের পরপরই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কোচগুলো পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে নিয়ে আসেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, ১২ নম্বর জেটিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রেলওয়ের কোচ বহনকারী জাহাজটি বার্থিং দেওয়া হয় বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট)।

এরপরই শুরু হয় কোচগুলো দ্রুত ও নিখুঁতভাবে নামানোর কাজ। শুক্রবার (২ আগস্ট) দিনের বেলাতেই সব কোচ নামানো শেষ হয়।
জাহাজটি শনিবার (৩ আগস্ট) বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজে এলো রেলওয়ের ২৬টি নতুন কোচরেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের অধীনে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান পিটি ইনকা রেলওয়ে ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসব মিটারগেজ কোচ আমদানি করা হয়েছে। অর্থায়ন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।   প্রতিটি কোচ আমদানিতে খরচ পড়েছে গড়ে ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। ২৬টি কোচ আমদানি করতে খরচ পড়েছে ৭৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।  

বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যারেজ সংগ্রহ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা উন্নতমানের ২৬টি কোচ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে। এরপর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে সেগুলো নিয়ে আসা হয়েছে। সেখানে আনুষঙ্গিক সংযোজন, ট্রায়াল শেষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী রুটে নামানো হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঈদের আগে এসব কোচ যাত্রী পরিবহনে যুক্ত করাটা কঠিন। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করা হচ্ছে ঢাকা-রংপুর রুটে এসব কোচ দিয়েই নতুন ট্রেন চালু করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।